img

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ নিহত ৪

প্রকাশিত :  ০৭:৩০, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ নিহত ৪

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক ও জামায়াত নেতা, বাবা-মেয়েসহ ৪জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে।

নিহতরা হলেন- রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর ও রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুতি গ্রামের হান্নান খান (৩৫) ও তার ৩ বছর বয়সী মেয়ে হাফসা খাতুন এবং শাহজাদপুর উপজেলার চর নবীপুর গ্রামের নুর নবী হোসেন (৫৫)।

নিহত জামায়াত নেতার বোনজামাই রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘আবুল কালাম বিশ্বাস বগুড়ায় জামায়াত ইসলামীর শিক্ষা শিবির কর্মসূচি শেষে গতকাল সোমবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন।

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার সোনকা এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধারের পর বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস রায়গঞ্জ মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। এ ছাড়া তিনি সোনার বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।

অপরদিকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘হান্নান খান স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গার সাতটিকরী এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে সলঙ্গা এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু হাফসার মৃত্যু হয়।

আহত অবস্থায় হান্নান, স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন ও ছেলে হামজাকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই আব্দুল হান্নানের মৃত্যু হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া উপজেলার কাওয়াক মোড় এলাকায় এক পথচারীকে চাপা দিয়ে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পথচারী নুরনবী হোসেনের মৃত্যু হয়। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

img

মালয়েশিয়ায় ৮২ প্রবাসীর আত্মসমর্পণ, ১৯ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ০৬:১১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮২ জন প্রবাসী স্বেচ্ছায় অভিবাসন দপ্তরে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনই বাংলাদেশি।

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজ্য অভিবাসন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ খান জানিয়েছেন, এসব ব্যক্তি ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন, যা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা সংক্রান্ত অপরাধ।

তিনি বলেন, তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন কারণ তারা দেশে ফিরে যেতে চেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে তারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন।

অভিবাসন দপ্তরের তথ্যানুসারে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ২৯ জন, বাংলাদেশি ১৯ জন এবং থাই নাগরিক ১৭ জন। এই তিনটি দেশ শীর্ষে রয়েছে। বাকিরা এসেছেন ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, সুদান, নাইজেরিয়া, লাওস ও ইরাক থেকে।

এছাড়া রাজ্যের প্রবেশপথে আরও তিনজন, দুইজন কম্বোডিয়ান ও একজন থাই নাগরিক ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৫ই লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছেন। এসব ধারা অনুযায়ী অপরাধ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান এবং অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া।

মোহাম্মদ ইউসুফ আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অভিবাসন বিভাগ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে মোট ৪৯৩ জন অননুমোদিত বিদেশি আটক হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে এবং নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়।

অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে সকল বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছেন বা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন, তারা যেন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন।

বাংলাদেশ এর আরও খবর