img

তাহিরপুরে অদৈত্ব জন্মধাম কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি, কমিটি গঠন স্থগিত

প্রকাশিত :  ১০:৩৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 তাহিরপুরে অদৈত্ব জন্মধাম কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের হাতাহাতি, কমিটি গঠন স্থগিত

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে অদৈত্ব জন্মধাম (পনতীর্থ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির গঠনের লক্ষ্য সাধারণ সভায় দুই পক্ষে মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ কারনে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে এবং পরিবর্তিতে তারিখ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি-রাজারগাও গ্রামে অদৈত্ব জন্মধাম মন্দির এলাকার ভিতরে ঘটেছে।

অদৈত্ব জন্মধাম মন্দির এলাকা দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক হাতাহাতির পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সভায় অদৈত্ব জন্মধাম (পনতীর্থ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অদৈত্ব রায়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ কল্যান ফ্রন্ট এর আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অশোক রায়। এছাড়াও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্ধ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গনমান্য ব্যক্তিগন বক্তব্য রাখেন।

এর মধ্যে সিলেট মহানগর আহবায়ক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যান ফন্ট্র এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফন্ট্র এর সদস্য সমিরন পুরকায়স্থ তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ -১৭ টি বছর চলে গেছে এই হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের টাকা গুলো কোথায় গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিগত সময়ে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামীলীগ সরকার, তার কি করেছে। এই বক্তব্যের পরে সভাস্থলে থাকা আওয়ামীলীগের সমর্থিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্ট্র আর বিএনপি সমর্থিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দুইটি সংগঠনের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।

এরপর কয়েক দফা আলোচনা করেও কমিটি গঠন নিয়ে কোনো সমাধান হয় নি। পরে কমিটি গঠন স্থগিত করে,পরিবর্তে সভার তারিখ ঘোষণা করে সভায় শেষে করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ কল্যান ফ্রন্ট এর আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অশোক রায় জানান, সভায় মন্দিরে সবাই বসে ছিলেন। সভা চলা সময় কেউ কেউ ফ্যাসিস্ট কথা সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বলতে পারে না অনেকেই সরাসরি বলে ফেলে। অনেকে অতিথি সরকারের কাছ থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তা বলার সাথে সাথেই হুলুস্থূল শুরু হয়। যা কোনো ভাবেই কাম্য ছিল না।

বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই হাফিজুর রহমান জানান, আমরা হইহট্টগোল ও বাকবিতন্ডা শুনে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অদৈত্ব জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তারা মন্দিরের ভাল চায় না। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাল চায় না, তারা ভাল মানুষ না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তারা বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া ও স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগ দিয়ে যা এই জেলায় বিরল ঘটনা। এই অভিযোগ গুলোর কারনে সকল দপ্তরের দায়িত্বশীলগন বিভ্রান্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মন্দির কোনো ব্যবসা ও রাজনীতি করার জায়গা না, এখানে ধর্মপালন করার যায়গা। আমরা সাধারণ সভা করতে পারে নি নানান জামেলা কমিটি হয়নি,পরিবর্তিতে তারিখ জানানো হবে। সবাই ঐক্য বদ্ধ ভাবে মন্দির উন্নয়ন করবো আর ধর্মপালন করবো এটাই সবাই কাছে কাম্য।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

সিলেট লালদিঘিরপাড়ে হকার শেড তৈরি করল সিসিক

প্রকাশিত :  ১০:০০, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট নগরীর যানজট নিরসন ও সড়ক-ফুটপাত হকারমুক্ত করার লক্ষ্যে লালদিঘিরপাড়ে অস্থায়ী হকার শেড তৈরি করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। ভ্রাম্যমাণ হকারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত এই অস্থায়ী বাজারে কোনো ভাড়া ছাড়াই ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হকাররা সেখানে ব্যবসা শুরু করেছেন।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অনেক হকারকে নতুন শেডে তাদের পসরা সাজাতে দেখা যায়।

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দখল করে হকারদের ব্যবসার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলেও ভোগান্তি বেড়ে যায়। এই সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে সিসিক নগরভবনের পেছনে লালদিঘিরপাড় মাঠে হকারদের জন্য স্থাপন করেছে অস্থায়ী বাজার।

নতুন বাজারে দশটি গলিতে ইট, বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য রাখা হয়েছে তিনটি প্রবেশপথ।

এছাড়া নির্মিত হয়েছে নতুন রাস্তা ও ড্রেন। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে টয়লেটও।

কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ উদ্যোগে মাইকিংয়ের মাধ্যমে হকারদের সচেতন করা হচ্ছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘নগরী যানজটমুক্ত ও নাগরিকদের নির্বিঘ্ন চলাচলের স্বার্থে আমরা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য লালদিঘিরপাড়ে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেছি। ব্যবসায়ীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো হকারের কাছ থেকে আমরা ভাড়া নিচ্ছি না- কাউকে কোনো টাকা দিতে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লালদিঘিরপাড়ের অস্থায়ী বাজারটি হকারদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক আশ্রয় হবে। আশা করি তারা এখানেই ব্যবসা চালিয়ে যাবেন। এতে নগরীর যানজট কমবে, ফুটপাত হবে দখলমুক্ত, আর সিলেট নগরী হবে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল।’

সিলেটের খবর এর আরও খবর