
৪৫ জনকে হত্যা করে গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা ইসরাইলের

গাজা উপত্যকায় টানা হামলার মধ্যে একদিনে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পরদিনই আংশিক যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একের পর এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু বলে জানান চিকিৎসকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা উপত্যকার নুসাইরাত, খান ইউনিস, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকায় হামলা চালানো হয়। আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র অভিজাত শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানায় আল-আওদা হাসপাতাল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের দাবি, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে।
রাফা এলাকায় চালানো এক হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করে হামাস হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের কাসেম ব্রিগেডসের এক কমান্ডারসহ ৬ জন সদস্যকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং গাজায় সিরিজ হামলার পর, হামাসের ভঙ্গ করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এদিকে, একই দিনে হামাস ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। তবে জিম্মিদের পরিচয় ও কীভাবে তারা মারা গেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।