img

পুরস্কৃত হলেন সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্য

প্রকাশিত :  ০৬:০৯, ০১ নভেম্বর ২০২৫

 পুরস্কৃত হলেন সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্য

কাজে দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য পুরষ্কার পেলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে তাদের পুরষ্কার দেওয়া হয়।

অপারেশনাল কাজে বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শনে পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সিলেট-২ যীশু তালুকদার, ছাতক ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জালাল আহমেদ,সিলেট দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার আব্দুল আহাদ, সিলেট ফায়ার স্টেশনের লিডার প্রীতিশ কুমার দাস,ফায়ারফাইটার মো: রমজান খান, মৌলভীবাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার মনিরুল ইসলাম, সিলেটের দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার তুহিন আহমেদ, কুলাউড়া ফায়ার স্টেশনের গাড়ী চালক আব্দুল খালেক, সিলেট দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের গাড়ী চালক মো: ওসমান মিয়া, উপ-পরিচালকের দপ্তরের আবু সায়েম।

এর আগে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিচালকরাসহ ঢাকায় কর্মরত সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালক এবং জেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে তার সময়কালীন গৃহীত পদক্ষেপ ও উন্নয়ন কাজের বিবরণ তুলে ধরেন। অপারেশন কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রশংসা অর্জন করায় বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

শুষ্ক মৌসুমে আগুনের সংখ্যা বৃদ্ধি যাতে হ্রাস করা যায় এজন্য সাধারণ জনগণকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফায়ার সার্ভিসের চলমান সচেতনামূলক কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী ১০ সদস্যকে মিয়ানমার সরকারের দেওয়া স্মারক পদক হস্তান্তর করেন। এরপর বিভাগ ভিত্তিক ও কেন্দ্রীয়ভাবে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন পেশাগত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যারা বিজয়ী হয়েছেন এবং প্রশাসনিক কাজে বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন তাদেরকে মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে প্রশংসাসূচক পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে ইনসিগনিয়া, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

বাহিনীর কর্মীদের পেশাগত কাজে আরও দক্ষ ও আন্তরিক হতে উৎসাহ প্রদানের জন্য এবারই প্রথম ‘মহাপরিচালকের প্রশংসা’ শিরোনামে পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত :  ১৭:০১, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার রাতে আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

গত সোমবার দেশের অন্যান্য আসনের সাথে সিলেটের ৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। তবে সিলেট-৪ ও সিলেট-৬ আসনে সেদিন কোন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আরিফুল হককে দল থেকে একাধিকবার সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তাতে সম্মত হননি আরিফ। তিনি সবসময়ই সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিলেট-১ আসন অথবা সিঠের সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন।

সর্বশেষ সোমবার বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিএনপির শীর্ষ নেতবেৃন্দের পক্ষ থেকে জরুরী তলব দিয়ে আরিফকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার ও বুধবার আরিফের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এসব বৈঠকে আরিফুল হককে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি প্রথমে সম্মত হননি বলে জানা গেছে। এরপর বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে বাসায় ডেকে পাঠান।

রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে আরিফুল হক ওই আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হন।

সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা থেকে রাতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। তাঁর নির্দেশে আমি সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছি। দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। আজকের সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি।

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লৈগৈর প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা মেনে প্রার্থী হননি তিনি।


সিলেটের খবর এর আরও খবর