img

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী কয়ছর এম আহমেদ: উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানই থাকবে অগ্রাধিকার

প্রকাশিত :  ১৭:১৫, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২০, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী কয়ছর এম আহমেদ: উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানই থাকবে অগ্রাধিকার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কয়ছর এবার এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সম্প্রতি সিলেটের আমানী কনভেনশন সেন্টারে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কয়ছর এম আহমেদ বলেন, তার লক্ষ্য স্থানীয় মানুষের জন্য স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তিনি জানান, নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেলে স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে নিজ এলাকায় কাজের সুযোগ করে দেওয়াই হবে তার অগ্রাধিকার।

“জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জবাসীর উন্নয়নে আমি বদ্ধপরিকর এবং আপোষহীন,” বলেন কয়ছর এম আহমেদ। “মানুষ যেন নিজের বাড়িতে থেকেই কাজ করতে পারেন—সেজন্য প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান এবং স্থানীয় বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

এছাড়া সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।

মনোনয়ন ঘোষণা হওয়ায় এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রচারণা আরও জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত :  ১৭:০১, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার রাতে আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

গত সোমবার দেশের অন্যান্য আসনের সাথে সিলেটের ৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। তবে সিলেট-৪ ও সিলেট-৬ আসনে সেদিন কোন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আরিফুল হককে দল থেকে একাধিকবার সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তাতে সম্মত হননি আরিফ। তিনি সবসময়ই সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিলেট-১ আসন অথবা সিঠের সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন।

সর্বশেষ সোমবার বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিএনপির শীর্ষ নেতবেৃন্দের পক্ষ থেকে জরুরী তলব দিয়ে আরিফকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার ও বুধবার আরিফের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এসব বৈঠকে আরিফুল হককে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি প্রথমে সম্মত হননি বলে জানা গেছে। এরপর বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে বাসায় ডেকে পাঠান।

রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে আরিফুল হক ওই আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হন।

সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা থেকে রাতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। তাঁর নির্দেশে আমি সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছি। দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। আজকের সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি।

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লৈগৈর প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা মেনে প্রার্থী হননি তিনি।


সিলেটের খবর এর আরও খবর