img

শিক্ষা ক্যাডারে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৫:৪০, ১২ নভেম্বর ২০২৫

শিক্ষা ক্যাডারে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে । এতে শিক্ষা ক্যাডার পদে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে ৬৮৩টি শূন্যপদের মধ্যে ৬৬৮টি পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী সাময়িকভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো। কয়েকটি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রভাষক পদে বাংলা বিভাগে ৬১ জন, ইংরেজিতে ৫০, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫, দর্শনে ৩০, অর্থনীতিতে ৪০, প্রাণিবিদ্যায় ১৫, ইতিহাসে ৩০, সমাজকল্যাণে ২৫, রসায়নে ৩০, ইসলামী শিক্ষায় ১৫, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৩২, পদার্থবিদ্যায় ২৫, উদ্ভিদবিদ্যায় ২৪ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞানে ১৫ জন, গণিতে ৩০, ভূগোলে ১৬, হিসাববিজ্ঞানে ৩০, মার্কেটিংয়ে ১০, ব্যবস্থাপনায় ৩২, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ২০, মনোবিজ্ঞানে ১০, কৃষিবিজ্ঞানে ৫, পরিসংখ্যানে ১৫, সংস্কৃতে ৫, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ৬, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে ২৫ এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের জন্য দুজনকে ক্যাডার পদে নিয়োগে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে থাকা শূন্যপদে ১৩ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রভাষক পদে ভূগোলে ২ জন, শিক্ষায় ৬ জন, অর্থনীতিতে ২ জন, ইংরেজিতে ২ জন এবং ইসলামিক আদর্শ বিষয়ে ৩ জনকে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।

পিএসসি সূত্র জানায়, সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট কাটাতে শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগে গত ২১ জুলাই ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল ব্রিটেনের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ১৭:১৯, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের ওপর সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়মকানুনে যে কঠোরতা এনেছে, তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে এমন সিদ্ধান্ত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রমাণ করতে হবে যে শিক্ষার্থীরা আসলেই পড়ার জন্য সে দেশে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থী ভিসাকে চোরাপথ হিসেবে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে না।

যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের জারি করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকতে হবে, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। ভর্তির অনুমতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার নিয়মেও কঠোরতা এনেছে ইউকে হোম অফিস।

অর্থাৎ ভর্তির আবেদন গৃহীত হওয়া শিক্ষার্থী আসলেই ভর্তি হলেন কি না, কোর্স শেষ করলেন কি না, এসব নিশ্চিত করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এসব নিয়ম না মানতে পারলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নেওয়ার লাইসেন্সও হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হার নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেক ওপরে– ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২২ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৮ শতাংশ।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানাচ্ছে, এই এক বছরে বিশ্বজুড়ে যে ২৩ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইউকে হোম অফিস, তার অর্ধেকই এই দুই দেশের! সে কারণে এই দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ফলে এ দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনই সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

৯ বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার: ২০২৬ সালে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে না।

ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন: আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী নেবে না।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন: পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নেওয়া বন্ধ রেখেছে।

সান্ডারল্যান্ড ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের আবেদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী নেবে না।

অক্সফোর্ড ব্রুকস: ২০২৬ সালে আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রামে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন নেবে না।

লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন বন্ধ রেখেছে।

গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটি: ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর ইনটেইকে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করবে না। তবে ২০২৬ সালে কিছু কোর্সে আবেদনের পথ খোলা আছে।