জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা পর্যায়ে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ তথ্য সচিবের
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (০৩ ডিসেম্বর) : আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়াতে জেলা পর্যায়ে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রচার কৌশল নিবিড় ও জনস্পর্শী হতে হবে।
তথ্য সচিব আজ জুম প্লাটফর্মে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সভা আয়োজন করা হয়।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৬৮ অফিসের কমকর্তারা এতে অংশ নেন।
তথ্য সচিব বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে ইউনিক ও অভূতপূর্ব নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী নির্বাচন। এ নির্বাচনে জেলা তথ্য অফিসগুলো ইনটেন্সিভ পাবলিসিটি বা জনমত গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আজ থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার জন্য জেলা তথ্য অফিসারদের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বা গ্রাম লেভেল পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে অবহিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, তথ্য অফিসাররা এ চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে করে কাজ করবে। এছাড়া, গুজব ও ফ্যাক্ট চেকিং এর জন্য পিআইবি'র নেতৃত্বে বাংলা ফ্যাক্ট এর সাথে তথ্য অফিসারদের সংযোগ স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তথ্য অফিসারদের তিনি একটি ইনোভেটিভ টিম হিসেবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন। একই সাথে তিনি জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তাদের নির্দেশ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রচার কাজে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ১০২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির সাথে সমন্বয় করে ৩৪ টি গান প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশন করা হবে। গ্রামের হাটে বাজারে কেমন করে হ্যাঁ /না ভোট দিতে হয় তার ডেমো জনগণকে দেখানো হবে। ভোট দিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রচার আরো আধুনিক ও হৃদয়গ্রাহী করা হচ্ছে। গণমুখী প্রচার কৌশলের ফলে আসন্নজাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং হ্যাঁ/না ভোটে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের রয়েছে অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ -উল-আলম, যুগ্ম সচিব মাহফুজা আখতার, গণ যোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এবং সৈয়দ এ. মু'মেন বক্তব্য রাখেন ।



















