img

করোনায় বিশ্বে আরো ১০৯৪ মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে দুই লাখের বেশি

প্রকাশিত :  ০৫:৪০, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

করোনায় বিশ্বে আরো ১০৯৪ মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে দুই লাখের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৫১৩ জন। একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই লাখ ১৮ হাজার ১২৩ জন।

এ নিয়ে মহামারি শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৭৩ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭০ জনে। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৪ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৬৩ জন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় জাপানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির এ তালিকায় এরপর রয়েছে ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ফ্রান্স, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইন ও হাঙ্গেরির মতো দেশগুলো।

দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে থাকা জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৩০৮ জন। মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪২ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ হাজার ৩৯৯ জন।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৮ জন এবং মারা গেছেন ২২১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৯ জন মারা গেছেন।

শনাক্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬৩ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ জন।

ফ্রান্সে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৫০৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৯৫ লাখ ২৮ হাজার ৮১৭ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন আট হাজার ৫০৪ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ২ কোটি ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ১০৮ জনের।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪২০ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৮৬ জনের।

তাইওয়ানে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮০১ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ৯৫ লাখ ৬৯ হাজার ৬১১ জন এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৩৫৬ জন।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কলম্বিয়ায় শনাক্ত ৮৯১ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন, পেরুতে সংক্রমিত ৩৩১ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন, ফিলিপাইনে সংক্রমিত ১৯৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন, হাঙ্গেরিতে সংক্রমিত ৬২০ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।



img

করোনার ঝুঁকি: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত :  ১৯:১৪, ০৯ জুন ২০২৫

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা হলো:

- সাত বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
- হাঁচি-কাশির সময় বাহ/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশ পথের জন্য নির্দেশনা
- দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
- দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।

- চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)

- ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
- জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)