img

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত-আক্রান্ত কমেছে

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০১ এপ্রিল ২০২৩

বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত-আক্রান্ত কমেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ও আক্রান্ত বেড়েছে। মারা গেছে এক হাজার ১৯ জন। আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৯৭৬ জন মানুষ।

গতকাল শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিল দুই লাখ পাঁচ হাজার ৪১৯ জন মানুষ। মারা গিয়েছিল এক হাজার ৪৭৫ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ জন। মারা গিয়েছিল ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৭ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়েছে ৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৪ জন।

এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মোট আক্রান্ত ১০ কোটি ৬২ লাখ ১৯ হাজার ৭১৬ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯ জনের।

তালিকায় আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চার কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৭ জনের।

আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে চতুর্থ স্থানে ফ্রান্স। মোট আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৯৭ লাখ ৯১ হাজার আট শ’ জন। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৮ জনের।

এরপর আক্রান্তে চতুর্থ ও মৃত্যুতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে জার্মানি। আক্রান্ত হয়েছে মোট তিন কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬ জন। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৯৬৪ জনের।

তালিকায় আক্রান্তে পঞ্চম ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় ব্রাজিল। আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ২৩৯ জনের।


img

করোনার ঝুঁকি: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত :  ১৯:১৪, ০৯ জুন ২০২৫

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা হলো:

- সাত বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
- হাঁচি-কাশির সময় বাহ/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশ পথের জন্য নির্দেশনা
- দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
- দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।

- চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)

- ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
- জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)