img

২৮ দিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২ ভাগ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত :  ০৫:২৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

২৮ দিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২ ভাগ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্বজুড়ে  বিগত ২৮ দিনে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫২ ভাগ- এ তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০শে নভেম্বর থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে সাড়ে আট লাখ মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এ সময়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কমেছে শতকরা ৮ ভাগ। মারা গেছেন কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা কমপক্ষে ৭৭ কোটি ২০ লাখ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর নতুন আপডেট ইস্যু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং আইসিইউতে থাকা ব্যক্তিদেরও। মনিটরিং করা হয়েছে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট এবং বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ইস্যুতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ১৩ই নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ১৮ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কমপক্ষে ১৬০০ রোগীকে নতুন করে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। যথাক্রমে এই হার শতকরা ২৩ ও ৫১ ভাগ বেশি।

১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএ.২.৮৬ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সাবভ্যারিয়েন্ট অধিক সংক্রমণশীল হলেও এতে প্রাণহানি বা মারাত্মক অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা কম।

এদিকে বিশ্বজুড়ে ইজি.৫ নামে আরেকটি সাব ভ্যারিয়েন্টকে সবচেয়ে বেশি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্টে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। তবে এর বিস্তার ঘটার আশঙ্কা প্রবল। বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে শীতের সময় জেএন.১ এর সংক্রমণ বেশি দেখা দিতে পারে। এতে অনেক দেশে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মহামারির সময় যেসব সতর্কতা দেয়া হয়েছিল প্রায় তা-ই এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

img

করোনার ঝুঁকি: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত :  ১৯:১৪, ০৯ জুন ২০২৫

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা হলো:

- সাত বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
- হাঁচি-কাশির সময় বাহ/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশ পথের জন্য নির্দেশনা
- দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
- দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।

- চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)

- ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
- জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)