img

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে বিএসএফের পুশ-ইন

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ১২ জুন ২০২৫

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে বিএসএফের পুশ-ইন

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৭০ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে।

গতকাল বুধবার (১১ জুন) রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরের দিকে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি ও মিনাটিলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে ৫৩ জন এবং সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করা হয়।

জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপি ২টি পরিবারের মোট ১৭ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। তারা ৭ জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং ১০ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।
মিনাটিলা বিওপি ৪টি পরিবারের ২৩ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ বিওপি ২টি পরিবারের ১৩ জনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ছনবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ৪টি পরিবারের ১৭ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।
সূত্র আরও জানায়, পুশ-ইন হওয়া এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সেখানে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। বিজিবি তাদের আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

মসজিদে ঢুকে নামাজরত ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাই আটক

প্রকাশিত :  ১৪:৫২, ১৭ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জায়গা সংক্রান্ত জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই মজিবুর রহমান (৬০) খুন হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার চরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

তবে ইতোমধ্যে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ও ঘাতক তারা দু’জনই চরগাঁও গ্রামের কামরু মুন্সির ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তার জের ধরে বুধবার বাড়ির পাশের মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান মজিবুর রহমান। তখন বড় ভাই লুৎফুর রহমান মসজিদে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আঘাত করলে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ বড় ভাইকে আটক করে। তবে মরদেহ এখন সিলেটে রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর