img

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক, জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত :  ২০:০৮, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক, জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং এলএনজি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা পিটার হাস বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঢাকাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানির সম্ভাবনা, বর্তমান সহযোগিতা এবং ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সূত্রটি আরও জানায়, গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে পাল্টা শুল্কবিষয়ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানির বিষয়ে সমঝোতা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এলএনজি-সহ বেশ কয়েকটি খাতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয় সামনে আসে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। এটি দেশের প্রথম এলএনজি আমদানির স্থাপনা, যা গ্যাস সংরক্ষণ ও পুনরুৎপাদনের কাজ করছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সামিট গ্রুপ পরিচালিত দ্বিতীয় টার্মিনালেও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে পটুয়াখালীর পায়রায় এক্সিলারেট এনার্জির আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

গত ৩০ আগস্ট শুরু হওয়া সফরে পিটার হাস মহেশখালী টার্মিনাল পরিদর্শনে যান। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে এটি তাঁর একাধিক সফরের একটি। তিনি ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এক্সিলারেট এনার্জিতে কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত থাকাকালে পিটার হাস বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইস্যুতে আলোচনায় ছিলেন। তাঁর কর্মকৌশল ও উপস্থিতি ঘিরে দেশে-বিদেশে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। আর এবার এলএনজি খাতে সহযোগিতার নতুন অধ্যায় তৈরি করতে আবারও আলোচনায় এলেন তিনি।


img

সাগর থেকে ৫ ট্রলারসহ ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

প্রকাশিত :  ১৭:১০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি জানান, ট্রলারগুলোর মধ্যে তিনটি টেকনাফ পৌর এলাকার এবং দুটি শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন।

চোখের সামনে ঘটনাটি দেখেছেন আশপাশের জেলেরা। তাদের বরাতে সাজেদ আহমেদ বলেন, ওই সময় বঙ্গোপসাগরে অন্তত ২০–৩০টি ট্রলার মাছ ধরছিল। হঠাৎ দুটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে কয়েকটি ট্রলার থামিয়ে দেয়। পরে জেলেদের জিম্মি করে পাঁচটি ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পর বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সঠিক কতজন জেলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গেছে। বিস্তারিত তথ্য যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর