img

নেপালে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত :  ১৯:৫৫, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

কেপি শর্মা ওলি সরকারের দুর্নীতি এবং ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নেপালে তীব্র বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবন বালুওয়াতারে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রী জানিয়েছে, জেন জি বিক্ষোভে সোমবার কাঠমাণ্ডুতে ১৭ জন এবং ইতাহারিতে ২ জন নিহত ও চার শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার পর নৈতিকতার কারণে লেখক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের

ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক মন্ত্রিসভায় নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’

এর আগে নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা ও বিশ্বপ্রকাশ শর্মা কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নৈতিকতার ভিত্তিতে লেখকের পদত্যাগ দাবি করেন।

এদিকে সরকারের দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক কবীন্দ্র বুর্লাকোটি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার জেন-জেড প্রজন্মের ওপর ‘নৃশংস দমননীতি’ চালিয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ ও অবিলম্বে নতুন জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

সহিংস বিক্ষোভ শুধু কাঠমান্ডুতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। নেপালের বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া, ইটাহারিসহ কয়েকটি জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় দামাকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় আর ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ে অবরোধ করে আগুন জ্বালানো হয়।

চলমান সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী অলির বাসভবনে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক চলছে। তবে কারফিউ ও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান করছেন।


img

সাগর থেকে ৫ ট্রলারসহ ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

প্রকাশিত :  ১৭:১০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি জানান, ট্রলারগুলোর মধ্যে তিনটি টেকনাফ পৌর এলাকার এবং দুটি শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন।

চোখের সামনে ঘটনাটি দেখেছেন আশপাশের জেলেরা। তাদের বরাতে সাজেদ আহমেদ বলেন, ওই সময় বঙ্গোপসাগরে অন্তত ২০–৩০টি ট্রলার মাছ ধরছিল। হঠাৎ দুটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে কয়েকটি ট্রলার থামিয়ে দেয়। পরে জেলেদের জিম্মি করে পাঁচটি ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পর বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সঠিক কতজন জেলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গেছে। বিস্তারিত তথ্য যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর