img

হাটহাজারীতে দুপক্ষের উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত :  ১৯:৫৯, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২০:১৫, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাটহাজারীতে দুপক্ষের উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা জারি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আপত্তিকর ভিডিও’ পোস্ট করা নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুই পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া ভিডিও পোস্ট করা যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মুবিন ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দেন।

হাটহাজারীর মীরেরহাট থেকে ১১ মাইল এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত আগামীকাল রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জশনে জুলুসে যাওয়া গাড়িবহরের এক যুবক হাটহাজারী বড় মসজিদ লক্ষ্য করে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।

সন্ধ্যার পর দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ঢিল–ছোড়াছুড়ি অভিযোগ করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আহমেদ দিদার কাসেমী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে মাদ্রাসায় ঢুকে যেতে বলেন।

এরপর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন। অন্যদিকে সুন্নি জনতা অবস্থান নেয় হাটহাজারীর কাচারি সড়কে। উভয় পক্ষ টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়ক। 

ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে দুই পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।


img

সাগর থেকে ৫ ট্রলারসহ ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

প্রকাশিত :  ১৭:১০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সাগর থেকে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি জানান, ট্রলারগুলোর মধ্যে তিনটি টেকনাফ পৌর এলাকার এবং দুটি শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন।

চোখের সামনে ঘটনাটি দেখেছেন আশপাশের জেলেরা। তাদের বরাতে সাজেদ আহমেদ বলেন, ওই সময় বঙ্গোপসাগরে অন্তত ২০–৩০টি ট্রলার মাছ ধরছিল। হঠাৎ দুটি স্পিডবোটে করে আসা আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে কয়েকটি ট্রলার থামিয়ে দেয়। পরে জেলেদের জিম্মি করে পাঁচটি ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও জানান, খবর পাওয়ার পর বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সঠিক কতজন জেলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গেছে। বিস্তারিত তথ্য যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর