img

সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল

প্রকাশিত :  ১৭:৫১, ০১ অক্টোবর ২০২৫

সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল

গাজামুখী ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে থামাতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল নিয়েছে ইসরায়েল। ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার (১ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কাছে পৌঁছালে ইসরায়েলি জাহাজ দুটি ত্রাণবাহী নৌযানের খুব কাছে এসে ‘বিপজ্জনক ও ভীতিকর চাল’ চালায়।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ দ্রুত এগিয়ে এসে ফ্লোটিলার দুটি নৌকা আলমা এবং সিরিয়াসকে ঘিরে ফেলে। সমস্ত নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়।

জাহাজের একজন আয়োজক থিয়াগো আভিলা এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি এই কর্মকাণ্ডকে \'সাইবার আক্রমণ\' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তবে এরপরও থেমে যায়নি নৌকাগুলো। ফ্লোটিলা এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি \'এই শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড ৪০টিরও বেশি দেশের নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের মারাত্মক বিপদের মধ্যে ফেলেছে।\'

বিপজ্জনক কৌশল, ড্রোন আক্রমণ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌকা রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০০ জন লোক আছেন, যাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী এবং সুইডিশ জলবায়ু প্রচারক গ্রেটা থানবার্গও রয়েছেন।

এটি গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে ফেলার সর্বশেষ সমুদ্রযাত্রা। আগের যাত্রাগুলোর বেশিরভাগই আটকে দেওয়া হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, নৌকাগুলো গাজার উপকূলের ১২০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে পৌঁছে গেছে। এই এলাকার মধ্যে ইসরায়েল যে কোনো নৌকাকে থামাতে তৎপরতা চালাচ্ছে।

নৌবহরটি জানিয়েছে, তারা গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখবে - বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অ্যমনেস্টির আহ্বান

নৌবহরের সুরক্ষার জন্য বৈশ্বিক আহ্বান জানিয়েছে অন্যতম বৃহৎ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক্স-পোস্টে পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, \'গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার মুখে দেশগুলোর ক্রমাগত নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বজুড়ে কর্মীদের অবরোধ ভাঙার জন্য শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।\'

এতে বলা হয়, \'দেশগুলোর দায়িত্ব নৌবহরের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা। নৌবহর রক্ষার জন্য তাদের চাপ বাড়াতে হবে এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও বেআইনি অবরোধ চিরতরে বন্ধ করার দাবি জানাতে হবে।\'


img

দুর্ঘটনার কবলে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস, নিহত ৪২

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১০, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সৌদি আরবের মদিনার কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ডিজেলভর্তি ট্যাংকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী বাসটিতে থাকা ৪২ জন ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মক্কা থেকে মদিনার পথে যাচ্ছিল।বাংলাদেশি সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে মুফরিহাত এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাসটির বেশিরভাগ যাত্রীই ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে ছিলেন। তারা মক্কায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মদিনার পথে ফিরছিলেন। 

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, যার ফলে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তারা বেরিয়ে আসার খুব কম সুযোগ পেয়েছেন। 

এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন নারী ও ১০টি শিশু রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো সঠিক সংখ্যা যাচাই করছে।

উদ্ধারকারী দলের মতে, বাসটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাওয়ায় মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, মোহাম্মদ আব্দুল শোয়াইব নামে একজন ব্যক্তি বেঁচে আছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, তারা রিয়াদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দিল্লির কর্মকর্তাদের দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর