img

ফ্লোটিলার দুটি নৌকায় ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত :  ০৮:১১, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

ফ্লোটিলার দুটি নৌকায় ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু

ইহুদিবাদী, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তিউনিশিয়ার সিদি বু সাঈদ বন্দরে নোঙর করা \'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা\'র দুটি নৌকায় ড্রোন হামলার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন উড়িয়ে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে, যার ফলে তিউনিশিয়ার বন্দরে অবস্থানরত নৌকা দুটিতে আগুন লেগে যায়। এই হামলাগুলো গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর পৃথক ঘটনায় চালানো হয়, যেখানে একটি পর্তুগিজ এবং একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌকা লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও যুদ্ধবিধি অনুসারে বেসামরিক জনগণ বা বেসামরিক স্থাপনায় দাহ্য অস্ত্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল হলেও এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।

এদিকে, গাজার জলসীমার কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলি নৌবাহিনী \'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা\'র একটি ছাড়া সব নৌযান আটক করে। সর্বশেষ পোলিশ পতাকাবাহী নৌযানটিও আটক হয় শুক্রবার সকালে। 

এর আগে বুধবার রাতে প্রথমে ১৩টি নৌযান এবং এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একে একে ২৯টি নৌযান আটক করে ইসরায়েলি নৌসেনারা। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসরায়েল ফ্লোটিলায় থাকা ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা গেছে। আটক অভিযাত্রীরা বর্তমানে ইসরায়েলে অনশন করছেন।

img

দুর্ঘটনার কবলে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস, নিহত ৪২

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১০, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সৌদি আরবের মদিনার কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ডিজেলভর্তি ট্যাংকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী বাসটিতে থাকা ৪২ জন ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মক্কা থেকে মদিনার পথে যাচ্ছিল।বাংলাদেশি সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে মুফরিহাত এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাসটির বেশিরভাগ যাত্রীই ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে ছিলেন। তারা মক্কায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মদিনার পথে ফিরছিলেন। 

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, যার ফলে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তারা বেরিয়ে আসার খুব কম সুযোগ পেয়েছেন। 

এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন নারী ও ১০টি শিশু রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো সঠিক সংখ্যা যাচাই করছে।

উদ্ধারকারী দলের মতে, বাসটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাওয়ায় মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, মোহাম্মদ আব্দুল শোয়াইব নামে একজন ব্যক্তি বেঁচে আছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, তারা রিয়াদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দিল্লির কর্মকর্তাদের দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর