img

ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে কীভাবে ঢুকলেন মারা যাওয়া যু্বক?

প্রকাশিত :  ০৯:৪৯, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

 ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে কীভাবে ঢুকলেন মারা যাওয়া যু্বক?

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বুধবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক মারা গেছেন। চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান বলে ধারণা সংশ্লিস্টদের।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো একটি সংরক্ষিত এলাকায় ওই যুবক কীভাবে প্রবেশ করলেন। প্রশ্ন ওঠেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি ছিলো না।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বিমানবন্দরের রানওয়ে-১১ এলাকা থেকে সুমন আহমদ নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এয়ারপোর্ট থানাধীন লালবাগ এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে কোনো কিছু সংস্পর্শে আসার সংকেত পান। তখন সিসি ক্যামেরায়ও স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ওই স্থান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবককে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

তবে কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিমানন্দর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে মারা যান সুমন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বৈদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ সিলেটটুডেকে বলেন, আমাদের ধারণা তিনি চুরির উদ্দেশ্যেই রানওয়েতে প্রবেশ করেছিলেন। চুরির কিছু আলামতও মিলেছে। পুলিশ কাটার মেশিন উদ্ধার করেছে।

ওই যুবক কীভাবে রানওয়েতে প্রবেশ করলেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমরা ফ্লাইট অপারেশনে ছিলাম। আমাদের রানওয়ের চারপাশে সীমানা দেওয়াল আছে। আমরা সারারাত টহলও দেই। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি নেই। ওই যুবক রানওয়েতে ঢুকতে পারেননি। রানওয়ের পাশেই ছিলেন। তবে সেখানে কীভাবে তিনি ঢুকে পড়লেন তা বুঝা যাচ্ছে না।

কেউ যদিও চুরির জন্য বেপোরোয়া হয়ে যায় তাকে ঠেকাবেন কীভাবে, যোগ করেন হাফিজ আহমদ।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

১১ লাখ টাকা জরিমানা

img

সিলেট-লন্ডন ফ্লাইটে বিমানের মনিটর ভাঙচুর: মদ্যপ ছিলেন যাত্রী শওকত

প্রকাশিত :  ১৮:০১, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট-লন্ডনের বিমানের ফ্লাইটে ঘুষি মেরে ভেঙে দেওয়া যাত্রী মো. শওকত আলী মদ‍্যপ ছিলেন বলে জানা গেছে। বিমানের নারী ক্রুদের সাথেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে শওকতকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে ওসমানী বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

বিমানের একটি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডন থেকে সিলেটগামী বিমানের বিজি (বিজি ২০১) ফ্লাইটে ফিরছিলেন শওকত নামের ওই যুবক। তিনি মদ্যপ ছিলেন। তার আসন নং ছিল ২৭-এ।

জানা গেছে, তিনি অন্যান্য সহযাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। গালিগালাজের এক পর্যায়ে তিনি মারমুখী আচরণ শুরু করেন। তখন বিমানের লোকজন দড়ি দিয়ে তাকে নিজের আসনের সাথে বেঁধে রাখেন। এরপর থেকে তিনি ক্রুদের, বিশেষ করে মহিলা ক্রুদের অশ্লিল গালি-গালাজ শুরু করেন।

এক পর্যায়ে তিনি ২৭-সি নং সিটের মনিটর ঘুষি মেরে ভেঙে ফেলেন। ওই মেশিনটির দাম ১১ লাখ টাকার বেশী।

সকালে বিমানের ওই ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে রেখে ভ্রাম্যমান আদলতর হাতে তুলে দেন। তারা ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আদালত তাকে ১১ লাখ ১০ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন বলেও বিমান সূত্রটি নিশ্চিত করে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক শরীফ এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট এয়ারপোর্ট ম‍্যানেজার হাফিজ আহমদ।

এদিকে, বিমান বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে এমন মদ্যপ যাত্রীকে ফ্লাইটে আরোহন করতে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন হয়রানির শিকার কর্মকর্তা ও ক্রুরা।

সিলেটের খবর এর আরও খবর