img

মালয়েশিয়ায় ৮২ প্রবাসীর আত্মসমর্পণ, ১৯ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ০৬:১১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মালয়েশিয়ায় ৮২ প্রবাসীর আত্মসমর্পণ, ১৯ জন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮২ জন প্রবাসী স্বেচ্ছায় অভিবাসন দপ্তরে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনই বাংলাদেশি।

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজ্য অভিবাসন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ খান জানিয়েছেন, এসব ব্যক্তি ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন, যা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা সংক্রান্ত অপরাধ।

তিনি বলেন, তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন কারণ তারা দেশে ফিরে যেতে চেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে তারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন।

অভিবাসন দপ্তরের তথ্যানুসারে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ২৯ জন, বাংলাদেশি ১৯ জন এবং থাই নাগরিক ১৭ জন। এই তিনটি দেশ শীর্ষে রয়েছে। বাকিরা এসেছেন ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, সুদান, নাইজেরিয়া, লাওস ও ইরাক থেকে।

এছাড়া রাজ্যের প্রবেশপথে আরও তিনজন, দুইজন কম্বোডিয়ান ও একজন থাই নাগরিক ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৫ই লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছেন। এসব ধারা অনুযায়ী অপরাধ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান এবং অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া।

মোহাম্মদ ইউসুফ আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অভিবাসন বিভাগ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে মোট ৪৯৩ জন অননুমোদিত বিদেশি আটক হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে এবং নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়।

অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে সকল বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছেন বা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন, তারা যেন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন।

img

সাগরে লঘুচাপের আভাস, রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। তবে এখনই বৃষ্টি পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবারের (২১ অক্টোবর) মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আকাশ মেঘলা ও সেইসঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডে ৩, কক্সবাজারের আমবাগানে ৪ এবং কুতুবদিয়ায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২১ অক্টোবরের মধ্যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, এটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না।

অক্টোবর মাসের শুরুতে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি এরই মধ্যে হয়েছে। আর দুটি বাকি আছে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা এমনকি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে।

বাংলাদেশে বছরে দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। একটি মৌসুমি বায়ুর আগমনের আগে (এপ্রিল-মে) এবং অন্যটি মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর (অক্টোবর-নভেম্বর)। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। 

বাংলাদেশ এর আরও খবর