img

‘প্রেমঘটিত’ কারণে খুন জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ, চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫

‘প্রেমঘটিত’ কারণে খুন জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ, চাঞ্চল্যকর তথ্য

চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ঘটনায়  । আটক তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন প্রেমঘটিত কারণে খুন হয়েছেন জোবায়েদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছাত্রী বর্ষা জানিয়েছেন, তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের প্রেমঘটিত জটিলতার জেরেই খুন হন জোবায়েদ। তবে খুনের পরিকল্পনা বা বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন বর্ষা।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বর্ষা ও মাহিরের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়িতে বেড়ে ওঠেন। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

ওসি আরও বলেন, বর্ষা তার সাবেক প্রেমিক মাহিরকে জানিয়েছিলেন, তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করেন, যদিও তাকে তা সরাসরি বলেননি। এতে রাগে ও ক্ষোভে মাহির তার বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করেন।

‘জোবায়েদ ও বর্ষার মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। জোবায়েদ গত এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ১৫, নুরবক্স লেনে বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। রোববার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ওই বাসার সিঁড়িতে তাকে খুন করা হয়। ঘটনাস্থল জুড়ে রক্তের দাগ পাওয়া যায়।’

ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বর্ষার মুখে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। তিনি পুরো সময় শান্ত ও চিন্তামুক্ত ছিলেন। তদন্ত চলছে, ঘটনার পেছনের সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, জোবায়েদ খুনের পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জবি শিক্ষার্থীরা। তারা বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে বর্ষাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জোবায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাহির রহমান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

নিহত জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

প্রকাশিত :  ০৮:৪৪, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫০, ২০ অক্টোবর ২০২৫

দাবি আদায়ে ৯ম দিনের মতো আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তিন দফা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। 

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 
তারা বলেন, বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা নির্ধারণের সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বিবর্জিত।
তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর ঘোষণাটি প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। সন্ধ্যায় সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।