img

আবারও বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় দরপতন

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আবারও বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় দরপতন

বিশ্ববাজারে সোনার দামে পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালের পর মঙ্গলবার ছিল সবচেয়ে বড় দরপতনের দিন। বুধবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। কিছুটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা থাকলেও ডলারের শক্তিশালী অবস্থান ও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণে নতুন করে বিক্রির চাপ তৈরি হয়েছে, যা দামের আরও পতন ঘটিয়েছে।

বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম ২.৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ১৭ দশমিক ২৯ ডলারে নেমে এসেছে, যা প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে দিনের শুরুতে দাম চার হাজার ১৬১ দশমিক ১৭ পর্যন্ত উঠেছিল। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ৩২ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন ডলার সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে, যা ডলারের মূল্যে নির্ধারিত সোনার দামকে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের জন্য আরো ব্যয়বহুল করে তুলেছে।

এর আগের সেশনে সোনা চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১-এর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছলেও মঙ্গলবার এর দাম ৫.৩ শতাংশ কমে যায়।

ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং শক্তিশালী ইটিএফ প্রবাহের কারণে এ বছর এখনো পর্যন্ত সোনার দাম ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কথা। এই তথ্য ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। সোনা, যা একটি অ-উৎপাদনশীল সম্পদ, তা কম সুদের হারের পরিবেশে লাভবান হয়।

রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের এক জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরেও তার মূল সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যান্য ধাতুর মধ্যে স্পট সিলভারের দাম ১.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৭ দশমিক ৮৪ ডলারে নেমে এসেছে। এটি মঙ্গলবার ৭.১ শতাংশ কমেছিল।

প্লাটিনামের দাম ১.৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৫৩০ দশমিক ৩৫ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.২ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

img

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৩৮

প্রকাশিত :  ০৫:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। মূলত জ্বালানিবাহী এই ট্যাঙ্কারটি উলটে যাওয়ার পর অনেকেই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। আর সেই সময় ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ঘটে প্রাণহানির ঘটনা।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের এজ্জা গ্রামে কাচা-আগাই সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জ্বালানি বোঝাই ট্যাঙ্কারটি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে উলটে যায় এবং তেল ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আশপাশের লোকজন তেল সংগ্রহ করতে ছুটে আসে। কিছুক্ষণ পরই ট্যাঙ্কারটি বিস্ফোরিত হয়।

নাইজার রাজ্যের পেট্রোলিয়াম ট্যাঙ্কার ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক মোহাম্মদ কাও সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ নিহত ব্যক্তি বিস্ফোরণের আগে ট্যাঙ্কার থেকে তেল সংগ্রহ করছিলেন।

ফেডারেল রোড সেফটি কর্পসের (এফআরএসসি) নাইজার শাখার কমান্ডার হাজিয়া আইশাতু সাদু জানান, উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। এই দুঃখজনক ঘটনায় ব্যস্ত ওই মহাসড়কে মারাত্মক যানজট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ঘটনা। প্রায় সময়ই রাস্তার খারাপ অবস্থা এবং খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যানবাহনের কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর