img

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ

প্রকাশিত :  ০৭:২১, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৪, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ ভারতের তামিলনাড়ুতে আঘাত হানবে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) ।

আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) আইএমডি পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি কারাইকাল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূণিঝড়টি উত্তর তামিলনাড়ু-দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।

সংস্থাটির তথ্য মতে, আগামীকাল রোববার (২৯ নভেম্বর) ভোরের আগে ঘূণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পরতে পারে।

ইতোমধ্যে ঘূণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ এর প্রভাবে ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে ৮০ জন নিহত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভূমিধসের কারণে কয়েক জায়গায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ির ছাড়া, গাছ ও অন্যান্য অবকাঠামোর ওপর আশ্রয় নেওয়া মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চল এবং অন্যান্য জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্য কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে তামিলনাড়ুতে ইন্ডিগো তাদের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার রাতে রামআশ্রম-ওখা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। সমুদ্রের ওপর তৈরি পাম্বন ব্রিজে ঝড়ো বাতাস বইয়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করলেও এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড়টির মূল আঘাত হানবে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায়।

ঘূর্ণিঝড়টি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৮০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৩০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৫০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭৫৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর (পুনঃ) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে


img

শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি ক্রু দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ ১০ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বোর উদ্দেশে যাত্রা করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২ শতাধিক জন নিখোঁজ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক উক্ত বন্যায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধুপ্রতীম দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।

এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থ জারি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।

এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০জে পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে আজ বিমান বাহিনীর ১৫ জন ক্রুর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বো, শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম মিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেরণকৃত সর্বমোট প্রায় ১০ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাবু শুকনো খাবার, মশারি, টর্চ লাইট, গাম বুট, ভেস্ট, হ্যান্ড স্লোভস, রেসকিউ হেলমেট এবং বিপুল পরিমাণ ঔষধ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা শ্রীলঙ্কায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য সদ্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য, মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে সি ১৩০জে পরিবহন বিমানটি একই দিন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে।