img

মাদক রাখার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:০৯, ৩০ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১১, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

মাদক রাখার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারে ৪ কেজি আইস ও ১ লাখ ইয়াবা রাখার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন আদালত।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং গ্রামের মৃত কাদের বকসুর পুত্র আবদুর রহমান (৩০) এবং একই ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার আবদুস সালামের পুত্র মোহাম্মদ নুর (২৫)।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ জুন কক্সবাজারের হ্নীলা ইউনিয়নে কয়েকজন লোক মিয়ানমারের শূন্য রেখা অতিক্রম করে আসার সময় বিজিবির একটি টিমকে দেখে দুটি বস্তা ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা আবদুর রহমান এবং মোহাম্মদ নুরকে আটক করে। তাদের ফেলা দেওয়া একটি বস্তা থেকে ২১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৪ কেজি ৩১৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং আরেকটি বস্তা থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় টেকনাফ বিজিবির নায়েক মো. আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে আবদুর রহমান এবং মোহাম্মদ নুরসহ ৬ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি বিচারের জন্য ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামিদের পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা, যুক্তিতর্কসহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়।

রায় ঘোষণার দিন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহিম ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) ধারার ১০(গ) সারণি মতে ২ আসামিকে দোষী সাব্যস্থ করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।


img

শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি ক্রু দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ ১০ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বোর উদ্দেশে যাত্রা করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২ শতাধিক জন নিখোঁজ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক উক্ত বন্যায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধুপ্রতীম দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।

এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থ জারি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।

এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০জে পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে আজ বিমান বাহিনীর ১৫ জন ক্রুর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বো, শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম মিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেরণকৃত সর্বমোট প্রায় ১০ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাবু শুকনো খাবার, মশারি, টর্চ লাইট, গাম বুট, ভেস্ট, হ্যান্ড স্লোভস, রেসকিউ হেলমেট এবং বিপুল পরিমাণ ঔষধ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা শ্রীলঙ্কায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য সদ্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য, মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে সি ১৩০জে পরিবহন বিমানটি একই দিন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে।