img

সাদিক-ফরহাদের ব্যালটে ‘অটো ভোটের’ অভিযোগ

প্রকাশিত :  ০৮:১৮, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাদিক-ফরহাদের ব্যালটে ‘অটো ভোটের’ অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ব্যালটে প্রার্থীর নামের পাশে ক্রস দেওয়া ছিলো বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা।

তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের নামে ভোট দেওয়া ছিলো।

শ্রেষ্ঠা জানান, টিএসসির কেন্দ্রে আমার এক বন্ধু ভোট দিতে আসে। সে ১ নম্বর টেবিল থেকে ব্যালট পেপার নেয়। ব্যালট নেওয়ার পর তিনি বুথে যান। সেখানে সে দেখে যে ব্যালটে সাদিক কায়েম এবং এস এম ফরহাদের জায়গায় ক্রস দেওয়া। এরপর সে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসা করলে উল্টো তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’

নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বলেও জানিয়েছেন শ্রেষ্ঠা।

অভিযোগের বিষয়ে টিএসসি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেন, পোলিং অফিসাররা জানিয়েছে, মেয়েটি বুথের ভেতরে প্রবেশ করেছিলো। পরে সেখানে ১ মিনিটের মতো ভেতরে থেকে পরে বের হয়ে এসে অভিযোগ করেন যে তার ব্যালটে দুটি প্রার্থীর নামের পাশে ভোট দেওয়া ছিলো। যেহেতু সে ভেতরে গিয়েছে তাই আমরা সিসিটিভি দেখতেছি। আমরা অন্যান্য ব্যালটগুলোও দেখেছি। কোনোটায় এমন নেই। তারপরও আমরা খতিয়ে দেখতেছি৷


img

গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এখন বৈঠকে আলোচনা চলছে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।


জাতীয় এর আরও খবর