img

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ

প্রকাশিত :  ০৬:২১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ

এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিন ইউয়েন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর দিঘিরপাড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা।

জানা যায়, আগস্ট মাসের বেতন বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু মালিকপক্ষ তা কোনো এক কারণে পরিশোধ করেননি৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দেড় থেকে ২০০ শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন৷ এতে ওই মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, আমাদের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বুধবার বেতন দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেয়নি৷ শুনলাম মালিকের মোবাইল ফোনও বন্ধ। আমাদের আজকের মধ্যেই বেতন পরিশোধ করতে হবে। না হলে আমরা মহাসড়ক ছাড়বো না৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন খান জানান, একটি কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। ঘটনাস্থলে থানা ও শিল্প পুলিশ গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে৷

এ বিষয়ে জানতে মালিক পক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রতিষ্ঠানের অনন্য কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি৷ 

img

জাকসু নির্বাচন বর্জনের কারণ জানাল ছাত্রদল

প্রকাশিত :  ১৪:১৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার কিছু আগে মওলানা ভাসানী হলের গেস্ট রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা জানতাম, এ নির্বাচনটি হবে পাতানো। তাজউদ্দীন হলের ভোটার লিস্টে ছবি নেই। তাই ২ ঘণ্টা নির্বাচন বন্ধ ছিল। ২১নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছিল। এর পেছনে ছিল ছাত্রশিবির। জাহানারা ইমাম হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। মেঘলার কারচুপির কারণে নির্বাচন বন্ধ ছিল। মেয়েদের হলে আইডি কার্ড চেঞ্জ করে একই মেয়ে বারবার ভোট দেওয়ার পরও প্রশাসন কিছু বলেনি। ভোট কারচুপির অভিযোগে তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে অমুছনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি। এক্ষেত্রে একজন ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারেন। একটি হলে এই প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আরও অভিযোগ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হচ্ছে। সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।

ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে এই প্যানেল।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যরা।

যেসব অভিযোগের উল্লেখ করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে সেগুলো হলো— ১.যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া। ২. প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেওয়া হয়নি। ৩. নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে ভোট গ্রহণকালে শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ করে। ৪. বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়। ৫. কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় একটি মহল ভোট কারচুপির মহোৎসবে মেতে ওঠে। ৬. কিছু কেন্দ্রের ভোটার অনুপাতে বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তি হয়।

এ ছাড়াও অভিযোগ করা হয়— ৭. অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অমোছনীয় কালি ব্যবহার না করায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট প্রদান করতে পেরেছে। ৮. ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের ছবি না থাকায় একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিয়েছে। ৯. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদে তিন জন কার্যকরী সদস্যকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে একজনের নাম উল্লেখ ছিল বলে অভিযোগ করে ছাত্রদল।


জাতীয় এর আরও খবর