img

গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এখন বৈঠকে আলোচনা চলছে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।


img

বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে সংকট আরও বাড়বে: আনিসুল ইসলাম

প্রকাশিত :  ১৪:৩০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় পার্টির অংশীদার ও চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন চায়, কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তা তৎক্ষণাৎ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি সতর্ক করে বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ ছাড়া নির্বাচন করলে দেশের সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা। লোডশেডিং,দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মামলা বাণিজ্য, মব সন্ত্রাস চলছে। এরমধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব কিনা, তা সরকারকে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখনো মামলা বাণিজ্য চলছে, এখনো নতুন করে বাণিজ্যের জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেয়ার জন্য সরকার নতুন আইন করেছে। সরকার বলেছে, দ্রুত তদন্ত করে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেয়া হবে। কিন্তু এখনো সেই নতুন আইনের কার্যকারিতা দেখছি না। যারা নির্বাচন করবে তাদের নামে যদি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়, তারা কিভাবে এলাকায় গিয়ে প্রচারণা চালাবে। সরকার এটা নিয়ে কথা বলছে না।

জাতীয় পার্টির দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের পক্ষে থাকবে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, যথাযথ নিয়ম ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে আমরা কাউন্সিল সম্পন্ন করেছি। ফলে জাতীয় পার্টির দলীয় প্রতীক লাঙ্গল আমাদের কাছে থাকবে।

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে বিজয় হওয়ায় জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, এই নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বড় দলের অনেক কর্মী থাকতে পারে, কিন্তু জনসমর্থন না থাকলে নির্বাচনে কি ফল হয় সেটা ডাকসুতে আমরা প্রমাণ পেয়েছি।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও ডাকসুতে বিজয় হওয়ায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ডাকসুতে মানুষের ভালোবাসা বিজয় হয়েছে। সঠিক রণকৌশল, কঠোর পরিশ্রম, পরিবর্তন ও বিবর্তনের পক্ষে ছাত্ররা রায় দিয়েছে। আমরা এ রায়কে সম্মান করি। এই নির্বাচনে ছাত্র শিবির বিজয় হয়েছে, তাদেরকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

হাওলাদার বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল এবং গত বছর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অহংকার দম্ভ করলে কিভাবে পতন হয়, তার ফলাফল ডাকসু নির্বাচন এবং জুলাই বিপ্লব আমাদেরকে শিখিয়ে গেছে।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, লাঙ্গল যে কোনো ব্যাক্তির কাছে নিরাপদ নয়। জি এম কাদের এরশাদের ভাই সূত্রে দলের চেয়ারম্যান ছিলেন ছিলেন। তিনি একদিনের জন্য কারাগারে যাননি। একটা বড় মিছিল, সমাবেশ করতে পারেনি। আমরা সকল নিয়ম কানুন মেনে সম্মেলন করেছি এবং সার্বিক বিচার বিবেচনায় জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গল আমাদের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে আমাদের পার্টির কাছে থাকবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ। 

জাতীয় এর আরও খবর