
ফার্মাসিউটিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনস্যুরেন্স সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ!

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ২০২৫: আগামী দিনগুলোতে শেয়ার বাজারে ফার্মাসিউটিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনস্যুরেন্স সেক্টরের শেয়ারগুলো অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সেক্টরগুলোতে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ লভ্যাংশ পাবেন, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় সুসংবাদ। গত কয়েক মাসের বাজার বিশ্লেষণ থেকে উঠে আসছে যে, এই তিনটি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির সম্ভাবনা অপরিসীম, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে নতুন ওষুধের উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। "আগামী ২-৩ বছরে ফার্মা কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ২০-৩০% বাড়তে পারে, যা সরাসরি লভ্যাংশে প্রতিফলিত হবে," বলেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন সিনিয়র বিশ্লেষক। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের শীর্ষ ফার্মা কোম্পানিগুলো যেমন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বা বেক্সিমকো ফার্মা, ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসারিত হচ্ছে, যা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বোনাসের মতো।
এদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জোরে শেয়ারের বুম দেখা যাবে। সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো, যেমন পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পের ধারাবাহিকতা এবং নতুন শিল্পায়নের ফলে এই সেক্টরের কোম্পানিগুলোর লাভ মার্জিন বাড়ছে। "ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মগুলোতে বিনিয়োগ করলে লভ্যাংশ ১৫-১০০% পর্যন্ত বাড়তে পারে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য শক্তি (রিনিউয়েবল এনার্জি) এবং নির্মাণশিল্পের (কনস্ট্রাকশনের) ক্ষেত্রে," মন্তব্য করেছেন বিনিয়োগ পরামর্শক সংস্থা আইডিএলসি-এর একজন নির্বাহী। বাংলাদেশে লার্জ ক্যাপ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলোর শেয়ার ইতিমধ্যেই উর্ধ্বমুখী, যা আগামীতে আরও ত্বরান্বিত হবে।
ইনস্যুরেন্স সেক্টরটি তো আরও আকর্ষণীয়। জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ইনস্যুরেন্সের চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। "এই সেক্টরে শেয়ারহোল্ডাররা আগামী বছরগুলোতে লভ্যাংশের হার ৫০% ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি, কারণ প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ক্লেইম ব্যবস্থাপনা (ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট) উন্নত হচ্ছে," বলেছেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি। কোম্পানিগুলো যেমন ডেল্টা লাইফ বা গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে তাদের লাভজনকতা বাড়িয়ে তুলছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বিনিয়োগের আগে বাজারের ঝুঁকি বিবেচনা করা জরুরি। অর্থনৈতিক অস্থিরতা বা নীতিগত পরিবর্তন এই সেক্টরগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। "বিনিয়োগকারীদের উচিত ডাইভার্সিকৃত পোর্টফোলিও তৈরি করা এবং পেশাদার পরামর্শ নেওয়া," যোগ করেছেন বিশ্লেষকরা।
এই সেক্টরগুলোতে বিনিয়োগের এই সুসময়কে কাজে লাগাতে চাইলে, বিনিয়োগকারীরা এখনই পদক্ষেপ নিতে পারেন। শেয়ার বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি শুধু লভ্যাংশ বাড়াবে না, বরং দেশের অর্থনীতিতেও নতুন গতি যোগ করবে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।