img

বিশ্বে কোভিড: আরও ৩৯৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৫:৫৭, ১১ মার্চ ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০৮, ১১ মার্চ ২০২৩

বিশ্বে কোভিড: আরও ৩৯৪ জনের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ১৮৪ জন।

শনিবার (১১ মার্চ) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১৮৮ জন। একইসময়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ১১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৫০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন। তাইওয়ানে ৯ হাজার ৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জন।

একইসময়ে ইরানে আক্রান্ত হয়েছে ৪৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮০৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। পোল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬২১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। সার্বিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৪১৪ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ লাখ ১১ হাজার ২০৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৫ কোটি ৪২ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৮ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

img

করোনার ঝুঁকি: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত :  ১৯:১৪, ০৯ জুন ২০২৫

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু নির্দেশনা হলো:

- সাত বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
- হাঁচি-কাশির সময় বাহ/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশ পথের জন্য নির্দেশনা
- দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
- দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।

- চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)

- ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
- জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)