img

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩৩, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপের দিকে বলে স্বীকার করেছেন।

আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব এ কথা বলেন তিনি।

দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব যে একটুখানি খারাপের দিকে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করব যাতে এটি আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

রাজবাড়ীতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যাবে।

তদন্তের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তদন্তের পরই কেবল দোষী নির্ধারণ করা যাবে। আগে থেকেই কাউকে সরিয়ে দিলে তা তদন্তের গুরুত্ব হারাবে। সঠিক তদন্তের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি কেউ নির্দোষ হয় তাহলে তো তার অ্যাগেইনস্ট কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে না। এখন তদন্ত না করে আমি কীভাবে বলব যে সেই দোষী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকির পরও কেন সহিংসতা ঠেকানো যায়নি, এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা ব্যর্থ হচ্ছি না। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আমরা শিগগিরই আইনের আওতায় আনবো। সবাইকে ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণে এসব ঘটনা বাধা সৃষ্টি করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে সক্ষম হবে।

পুলিশে বদলি ও পোস্টিংয়ের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ এবার ফেয়ার রিক্রুট সম্পন্ন করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নাম সাজেস্ট করা হয়নি। আমি যতদিন থাকব, পোস্টিং লটারির মাধ‍্যমেই হবে।

এ সময় গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা জোরেশোরে তুলে ধরা হয়, কিন্তু সফলতা তুলে ধরা হয় না।


img

গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এখন বৈঠকে আলোচনা চলছে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।


জাতীয় এর আরও খবর