img

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাকসুর ভোট গণনা

প্রকাশিত :  ০৬:২০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাকসুর ভোট গণনা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো চলছে। এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা হয়েছে। আজ  (১৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো গণনা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই ভোট গণনা চলছে। গণনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। নির্বাচন কমিশন একেকবার একেক সময়সীমার কথা জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও ২১ টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছিলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সম্পূর্ণ গণনা শেষ করে বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন তারা। তার আগে তিনি গতকাল দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওইদিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। সেই গণনা এখনো চলছে।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বেড়ে ১৫ শতাংশ, পাবেন দুই ধাপে

প্রকাশিত :  ০৮:০২, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০০, ২১ অক্টোবর ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শিক্ষক নেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ বলেন, আজকের এই মুহূর্তটা শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে। সম্মানিত শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী শতাংশ হারে এই ভাতা নিশ্চিত করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকরা আরও অধিক সম্মানের দাবিদার এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের সচেষ্ট থাকা দরকার।

তিনি বলেন, এই পথটা সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক, অভিযোগ সবকিছুই ছিল। কোনো বিতর্কের উত্তর না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রমাগত একটা ন্যায্য, টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। নেপথ্যে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ, আর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। যেন শিক্ষকদের দাবি শোনা হয়, বোঝা হয়। মন্ত্রণালয় মনে করে এটি কারও একার জয় নয়। এটি যৌথ সাফল্য। এছাড়া শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে। সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়া। শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের আসল কাজের জায়গা এটি। আজকের এই সমঝোতা হোক নতুন সূচনা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর গুণগত মানসম্মত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা একটি মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।

এর আগে গত রোববার আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষকরা ওই দাবি না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যান।

২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। টানা ১০ দিন আন্দোলন করছেন তারা। সেখানে গিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।