img

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ২০০-এর বেশি ‘তালেবান ও সহযোগী সন্ত্রাসী’ নিহত

প্রকাশিত :  ১৫:৩৮, ১২ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ২০০-এর বেশি ‘তালেবান ও সহযোগী সন্ত্রাসী’ নিহত

আফগানিস্তানের তালেবান ও ভারত সমর্থিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’-এর হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী পরিচালিত পাল্টা অভিযানে ২০০-এর বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন, বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

রোববার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া আউটলেট ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানি বাহিনী আফগান ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত তালেবান ক্যাম্প, পোস্ট, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সহায়ক নেটওয়ার্কের উপর সুনির্দিষ্ট হামলা, শারীরিক রেইড এবং স্ট্রাইক পরিচালনা করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত জুড়ে একাধিক তালেবান অবস্থান ধ্বংস করা হয়েছে। আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষী অবস্থানের ২১টি স্থানও অল্প সময়ের জন্য দখল করা হয়েছিল এবং বহু সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প কার্যত অকার্যকর করা হয়েছে।

উভয় দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয় শনিবার গভীর রাতে, যখন আফগান বাহিনী অপ্রতিবাদীভাবে পাকিস্তানের বিভিন্ন সীমান্ত পোস্টে গুলি চালায়। আঙ্গুর আড্ডা, বজাউর, খুররমসহ অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় এই হামলা হয়। এরপর পাকিস্তানও গুলি ও আর্টিলারির মাধ্যমে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়।

আফগান প্রশাসন দাবি করেছে, তাদের হামলায় ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তান পক্ষ এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আফগান বাহিনীর উপরও ক্ষতি সাধন করেছে।

রোববার সকালে বেশিরভাগ স্থানে গোলাগুলি থেমে গেলেও, খুররম অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলি চলতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তাদের অভিযান শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। পরে কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে তারা আক্রমণ বন্ধ করে।

পাকিস্তানের আইএসপিআর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত জুড়ে তালেবান পোস্ট, ক্যাম্প, সদর দপ্তর ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অবকাঠামোগত ক্ষতি ব্যাপক। 

সামরিক মুখপাত্র আরও সতর্ক করে বলেছেন, পাকিস্তান আফগান ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার সহ্য করবে না। প্রয়োজন হলে দেশের জনগণ সুরক্ষার জন্য সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসী লক্ষ্যগুলোকে ধ্বংস করার অধিকার প্রয়োগ করবে।

আইএসপিআর হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তালেবান সরকার যদি অব্যাহতভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, বিশেষ করে ভারতের সহায়তায়, তাহলে পাকিস্তান পুরোপুরি সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত থামবে না।

এদিকে, সংঘাতের কারণে সৌদি আরব, কাতার ও ইরান উভয় পক্ষকে শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। 

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তেজনা হ্রাস ও সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অঞ্চলীয় শান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরি।’


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর