img

‘আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়’

প্রকাশিত :  ০৬:২৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়’

ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েলে বন্দিজীবন শেষে মুক্তি পাওয়া গাজার খান ইউনিস শহরের কয়েকজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলেছে আল–জাজিরা। তাদের মধ্যে একজন, আবদাল্লাহ আবু রাফি, নিজের মুক্তির অনুভূতিকে এককথায় বর্ণনা করেছেন—‘অসাধারণ’।

আবু রাফি বলেন, ‘আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই কসাইখানার নাম ছিল ওফের কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে আছে। ইসরায়েলের কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে কোনো তোশক নেই—সব সময় তোশকগুলো নিয়ে যায়। খাবারের মান খুব খারাপ। সবকিছুই সেখানে কঠিন।’

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলের কারাগারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘খুব, খুব খারাপ। খাবার, নির্যাতন, প্রহার—সবদিক থেকেই অবস্থা ভয়ানক। সেখানে খাবার বা পানি কিছুই ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিসে) এসে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি ওগুলোই খেয়েছি।’

ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের অনেকে আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদের সাজা ভোগ করছিলেন। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আটক করা আরও প্রায় ১ হাজার ৭১৮ জন ফিলিস্তিনিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এই বন্দীদের ‘বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন সাইদ শুবাইরও। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাগারের বাইরে মুক্ত আকাশে সূর্য দেখা—এক অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না; এটা অমূল্য।’


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর