img

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা নিল সেনাবাহিনী

প্রকাশিত :  ১৭:০৩, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৭, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা নিল সেনাবাহিনী

বিক্ষোভের মুখে আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশটির ক্ষমতা নিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার  ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স কাপসাট।

দুই সপ্তাহ আগে মাদাগাস্কারের জেন-জিরা বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পানি সমস্যার সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভে নামে। যা পরবর্তীতে দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। এছাড়া নিত্যপণ্যে দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয় তারা। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট আন্দ্রির পদত্যাগের দাবি করতে থাকেন।

এর মধ্যে গত শনিবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতাধর এলিট ইউনিটের সেনারা অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের ব্যারাক থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

দুইদিন পর সোমবার জানা যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি ফ্রান্সের একটি সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়েছেন। এরপর রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জীবন রক্ষার জন্য একটি ‘নিরাপদ’ স্থানে আছেন।

এরপর মাদাগাস্কারের সংসদ সদস্যরা প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিকে অভিশংসনের প্রস্তুতি নেন। এ তথ্য জেনে তিনি সংসদ বিলুপ্ত করেন। কিন্তু সংসদ সদস্যরা তার এ সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে অভিসংশন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেন এবং তাকে অভিসংশনের পক্ষে ভোট দেন। এর কিছু সময় পরই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয়।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর কাপসাট ইউনিটই আন্দ্রিকে ২০০৯ সালে প্রথমবার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট বানাতে সহায়তা করেছিল। ওই বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মার্ক রাভালোমানানাকে সরিয়ে আন্দ্রি ক্ষমতা নেন। এখন তার বিরুদ্ধেই আবার সেনাবাহিনীর একই ইউনিট অবস্থান নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে।

কর্নেল মিখায়েল রান্দ্রিয়ানিরিনা নামে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, প্যারামিলিটারি এবং পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যারা প্রেসিডেন্টের কাজ করবে। তিনি এএফপিকে বলেছেন, সম্ভবত পরিস্থিতি অনুযায়ী এই কমিটিতে বেসামরিক উপদেষ্টাদের যুক্ত করা হবে। এটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে। একইসঙ্গে কিছুদিন পর আমরা একটি বেসামরিক সরকার গঠন করব।

সূত্র: রয়টার্স


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর