img

লম্বা ছুটি পাচ্ছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত :  ১৪:১৯, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

লম্বা ছুটি পাচ্ছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ডিসেম্বরের শেষে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর খুলবে আগামী বছরের শুরুতে। বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে নিয়ে আবারও শুরু হবে পাঠদান। শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে ডিসেম্বরে লম্বা ছুটি পাবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়: বিদ্যালয় প্রধানের হাতে থাকা তিনদিনের ছুটিসহ ২০২৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ছিল ৭৮ দিন। ডিসেম্বরের লম্বা ছুটির মাধ্যমে যা শেষ হতে চলেছে। শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। যা শেষ হবে ২৫ ডিসেম্বর। এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করার নির্দেশনা আছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়: মাধ্যমিকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের শেষ ছুটি। যদিও এর আগে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। মাধ্যমিকের এই ছুটি শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর। ছুটি শেষে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার নির্দেশনা রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি কলেজ: দেশের সরকারি বেসরকারি কলেজে ছুটি শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর। আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাদের ছুটি শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মহান বিজয় দিবস পালনে প্রতিষ্ঠানে আসবেন।

মাদ্রাসা ও কারিগরি: শিক্ষার ছুটির তালিকা অনুযায়ী তাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি (স্বতন্ত্র, এবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল) মাদ্রাসা ১৪ ডিসেম্বর থেকে ছুটি। এর আগের দুই দিন ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন তারা। মাদ্রাসা খুলবে ২৮ ডিসেম্বর। এদিকে মাদ্রাসায়ও দুই স্তরে বৃত্তি পরীক্ষা রয়েছে।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন: শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রকাশিত :  ১২:০৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশনা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর বার্তা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি গ্রহণ সরকারি চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি’।

এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং কোথাও কোথাও পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।দাবি বাস্তবায়ন: মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবিসহ অন্য দুটি দাবি (১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি) বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়টি পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণকে অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।অন্যথায় এ ধরণের শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।\"