img

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৬:২৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু

গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার তৃতীয় দিনে আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই জোড় ইজতেমায় এ পর্যন্ত পাঁচ জন মুসল্লির মৃত্যু হলো।

আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ি নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন– সিলেট সদর উপজেলার ভার্থখোলা এলাকার আব্দুল জহিরের ছেলে আবুল আসাদ বাদল (৬২); ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কোট্টাপাড়া এলাকায় নাজির উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন (১০০)।

সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে টঙ্গী জোড় ইজতেমা মাঠে বৃদ্ধ মুসল্লি মঈন উদ্দিন স্বাভাবিক অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে মুসল্লি আবুল আসাদ বাদলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামায়াতের বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুকের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শুরায়ে নেজামের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী এ জোড় ইজতেমা। 

এই জোড় ইজতেমা ২ ডিসেম্বর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

img

শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি ক্রু দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ ১০ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বোর উদ্দেশে যাত্রা করে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া’র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২ শতাধিক জন নিখোঁজ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক উক্ত বন্যায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্ধুপ্রতীম দেশের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত।

এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থ জারি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।

এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০জে পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে আজ বিমান বাহিনীর ১৫ জন ক্রুর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বো, শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম মিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেরণকৃত সর্বমোট প্রায় ১০ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাবু শুকনো খাবার, মশারি, টর্চ লাইট, গাম বুট, ভেস্ট, হ্যান্ড স্লোভস, রেসকিউ হেলমেট এবং বিপুল পরিমাণ ঔষধ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা শ্রীলঙ্কায় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য সদ্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য, মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে সি ১৩০জে পরিবহন বিমানটি একই দিন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে।