img

রামপুরায় ২৮ হত্যাকাণ্ড: কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির দুই সেনা কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ০৬:২৫, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রামপুরায় ২৮ হত্যাকাণ্ড: কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির দুই সেনা কর্মকর্তা

রাজধানীর রামপুরায় জুলাই-আগস্টে ২৮ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার পর ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আনা হয়। এ মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করবে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হবে।

এদিকে, আজও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের আশপাশ এলাকা। হাইকোর্টের মূল অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

রেদোয়ানুল ছাড়া অপরজন হলেন বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। পলাতকরা হলেন—ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

পলাতকদের পক্ষে গত ২৪ নভেম্বর স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ওই দিন দুই সেনা কর্মকর্তার হয়ে আইনি লড়াই করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন। তিনি নিজের ক্লায়েন্টদের সশরীরে হাজির না হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানি বা হাজিরার আবেদন করেন। তবে এ বিষয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলেছে। এর মধ্যে রামপুরায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

এছাড়া অন্যরাও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ হত্যাযজ্ঞে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ট্রাইবুনালে চারজনের বিরুদ্ধে আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।


img

কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি, দেরি হতে পারে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায়

প্রকাশিত :  ১৬:৫১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি সমস্যার কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শাইরুল কবির খান। তিনি জানান, কারিগরি সমস্যার কারণে উড্ডয়ন বিলম্বিত হয়েছে এবং কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স উড্ডয়ন হওয়ার বিষয়টি পরে জানানো হবে।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাতারের আমিরের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে, যাতে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারসহ উন্নত চিকিৎসার সব জরুরি সুবিধা।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ রাতের মধ্যেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল এবং খুব ভোরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।” তবে কারিগরি জটিলতায় সেই সময়সূচিতে পরিবর্তন এসেছে।

তিনি জানান, আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন এবং ম্যাডামের সঙ্গে যাচ্ছেন দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।

তিনি বলেন, “আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন ম্যাডামকে সুস্থভাবে বিদেশে নিয়ে যেতে এবং চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে সহায়তা করেন।”

বিএনপি মহাসচিব আরও জানান, দেশি–বিদেশি চিকিৎসকদের যৌথ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের উন্নত একটি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, সারাদেশের মানুষ জনপ্রিয় এই নেত্রীর সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন এবং তার সফল চিকিৎসার অপেক্ষায় আছেন।

জাতীয় এর আরও খবর