img

নাসিকে আইভীর হ্যাটট্রিক বিজয়

প্রকাশিত :  ১৫:৪০, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

নাসিকে আইভীর হ্যাটট্রিক বিজয়

জনমত ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারকে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়ে হাটট্রিক বিজয় পেয়েছেন আইভী।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) কোনোরকম গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রর ভোটগণনা শেষ হয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটির মোট ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। । অপর দিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। ​রোববার রাতে ভোট গণনা শেষে ১৯২ কেন্দ্র থেকে আসা প্রাথমিক তথ্যে সিটি নির্বাচনের এ ফল নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সংবাদকর্মীদের ভোটের এ ফল জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে এবার এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার।

এবার নির্বাচনে মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করেছে। মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন ৭ জন। প্রার্থীরা হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র থেকে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা)।

পাশাপাশি নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

img

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৭৪১

প্রকাশিত :  ১৮:০৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তফশিল অনুযায়ী ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 

তফশিল অনুযায়ী, আজই (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

রিটার্নিং অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর ২১ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি জানিয়েছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩৬৯ জন নিবন্ধন করলেও শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন।