img

৭ প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্রেফতারঃ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বিসিএ এবং ইউকেবিসিসিআই

প্রকাশিত :  ২২:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

৭ প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্রেফতারঃ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বিসিএ এবং ইউকেবিসিসিআই

জনমত রিপোর্টঃ বিসিএ (বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন) এবং ইউকেবিসিসিআই (ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী ৭ প্রবাসী ব্যবসায়িকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে যে সকল হয়রানী হন ও হচ্ছেন, তা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করে হয়রানী বন্ধের জোর দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইউকে—বিসিসিআই’র চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ওবিই, প্রেসিডেন্ট এমজি মৌলা মিয়া, ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ এমবিই, বিসিএ প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম ওবিই। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএ’র প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন টিপু।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২১শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের  ‘হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’র বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিতে লন্ডন থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন কোম্পানিটির ৭ পরিচালক। কিন্তু  কোম্পানিটির মতিঝিলের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একই মামলার আসামি হলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকসহ অন্য কোনো পদস্থ কর্মকর্তাকে। 

 লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ হলফ করে বলেন, “যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই ৭ ব্যবসায়ী দেশে ফেরায় ক্ষুব্ধ হয়ে গোপনে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তারকৃত সাত ব্যবসায়ী হলেন— সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা জামাল মিয়া ও তার ভাই কামাল মিয়া, বিশ্বনাথের আবদুল আহাদ ও তার ভাই আবদুল হাই, ছাতকের জামাল উদ্দিন ও শাহজালাল উপশহরের আবদুর রাজ্জাক। তাদের মধ্যে জামাল মিয়া কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাকি সবাই পরিচালক।

উল্লেখ্য গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামাল উদ্দিন মকদ্দুস বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের সম্মানিত সিনিয়র সহ—সভাপতি। ভদ্র, অমায়িক এবং দেশ প্রেমি সমাজকর্মী জামাল উদ্দিন মকদ্দুস নিজ এলাকা ছাতক থানায় নিজ গ্রামে জামাল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।


সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যবসায়িদের শীর্ষস্থানীয় এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫টি দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছেঃ (১) প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, (২) রহস্যজনক এই গ্রেফতারের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে, (৩) আমরা প্রবাসী ব্যবসায়ী যারা বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট করাকে প্রমোট করে থাকি, তাদের নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে, (৪) অযথা মামলা ও হয়রানী করা থেকে বিরত থাকতে হবে, এবং (৫) বাংলাদেশে আলাদা ভাবে প্রবাসীদের মামলাগুলো ত্বরিত বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগের আমরা কথা জানিয়েছি। প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ আছে বলে যে সুনাম ছিলো, তা আজ কতিপয় দুষ্ট মানুষের জন্য নষ্ট হতে চলেছে। আমরা আশা করি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। এবং আমরা প্রবাসী ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।”


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

তারেক রহমান একজন রাজনৈতিক অভিভাবক

প্রকাশিত :  ০৭:৩৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আসসালামু আলাইকুম ।

মাননীয় নেতা, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,-

আজ কোটি কোটি মানুষ আপনার প্রতিক্ষায়, আপনাকে ঘিরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ আজ একটি গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, আপনাকে ঘিরে এক নতুন সুর্যের আলোকবর্তিকার প্রত‍্যাশায় বাংলাদেশে আজ অগনিত অসংখ্য মানুষ আপনার অপেক্ষার প্রহর গুনে ।

আপনি বাংলাদেশে যাবেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে হতভাগা এই দেশটির কান্ডারী হবেন, আপনাকে অবলম্বন করে দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হতভাগ্য মানুষগুলো আবারো নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করবে,- এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা আপনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ।

আজ আমাদের স্বপ্ন যখন বাস্তবের একেবারেই কাছাকাছি সকলের মতো আমিও আজ আনন্দে উদ্বেলিত, খুশিতে আত্মহারা । কিন্তু আপনার বাংলাদেশে যাওয়ার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কেনো জানি শুধু অনুভব করছি হৃদয়টা যেনো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, কেবলি মনে হচ্ছে মাথার উপর বট গাছের ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা অন্তরের সবচেয়ে আপন জনকে হারিয়ে যেনো আমি নিঃস্ব হতে চলেছি ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, রাজনীতির কঠিন দাবা খেলায় আমার এই ছোট্ট জীবনে কতো ষড়যন্ত্র কতো প্রতিকুল পরিস্থিতি আমার রাজনৈতিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আপনি আপনার বিচক্ষণতা ও স্নেহের পরশ দিয়ে প্রতিবারই আমার মতো একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করেছেন । আপনার বিদায়ের ক্ষণে আজ এই স্মৃতিগুলো আমার চলার গতি স্তব্ধ করে দেয় । আপনার স্নেহের ঋণে আপনার কাছে আমি এক মহাঋণী মানুষ ।

শ্রদ্ধেয় ভাই- আমি আপনার অনেক বিরক্তির কারণ হয়েছি, আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি । আপনার কাছে আমার অপরাধের শেষ নেই । আমার পাহাড়সম অপরাধ নিয়ে আমি আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

ভাই, আপনি কখনো কখনো আদর করে আমাকে \" আমার আবুল \" বলে ডাকতেন । আপনার স্নেহভরা এই আবুল ডাকটি আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে রইলো । এটা আমার মতো ক্ষুদ্র একজন মানুষের জন্য এক বিশাল পাওয়া ছিল । এই স্মৃতি আমি আমৃত্যু লালন করবো ।

ভাই- আপনি লন্ডনে থাকবেন না, আর কখনো আপনার সংস্পর্শে যাওয়া হবেনা এই বিষয়টি আমাকে অনেক কষ্ট দেয়, চোখের জল আটকাতে পারিনা । ভাই, আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ দীর্ঘদিন আপনার মতো এক বিশাল ব‍্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ।

আমি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি আপনি আপনার মেধা, নেতৃত্ব গুন ও সততা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার মতো- দলের গন্ডি পেরিয়ে আপনি একদিন বাংলাদেশের সকল মানুষের নেতা হয়ে উঠবেন । আর সেদিন আমিও এই ভেবে অহংকার করবো যে, একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমিও কোনো একদিন এই মহান মানুষটির সংগে ছিলাম ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, এই কয়দিন নিজের সাথে  যুদ্ধ করেছি আপনাকে আমার এই কথাগুলো লিখবো কি লিখবো না এই ভেবে । শেষ পর্যন্ত অনুভব করেছি, যদি এই কথাগুলো আমি আপনাকে না বলতে পারি হতেও পারে হয়তো আমি দম আটকে মারাও যেতে পারি । আমার এই কথা গুলো আপনাকে লিখার কারণে যদি আমার কোনো অনধিকার চর্চা হয়ে থাকে এর জন্যে আমি আবারো আপনার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাচ্ছি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

দোয়া করি আল্লাহ যেনো সব সময় আপনার সহায় হন, আপনার মঙ্গল করেন । পৃথিবীর সকল ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ যেনো সব সময় আপনাকে রক্ষা করেন । আল্লাহ হাফেজ।


বিনীত

আপনার একান্ত অনুগত

মোঃ আবুল হোসেন ॥


কমিউনিটি এর আরও খবর