img

শিক্ষাবিদ সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই’র মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

প্রকাশিত :  ১৬:৩০, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৬, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষাবিদ সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই’র মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সংবাদকর্মী, ব্রিটেনের বাংলাভাষী গণমাধ্যমের অত্যন্ত পরিচিত ও প্রিয়মুখ, চ্যানেল এস-এর সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ও লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই’র মৃত্যুতে প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ।

ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ ও কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ এক শোকবার্তায় মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তাঁর স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণের শক্তি দানের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন।

উল্লেখ্য, সৈয়দ আফসার উদ্দিন ১২ এপ্রিল, শুক্রবার রাত ২টা ২০ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাহ ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৯ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে সহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিন কয়েক বছর থেকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। তিনি কাজ করেছেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, ভয়েস অব আমেরিকা, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

মরহুম সৈয়দ আফসার উদ্দিন-এর নামাজে জানাজা ১৩ এপ্রিল শনিবার বাদ জোহর ইস্ট লন্ডন মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে । এর আগে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মরহুমের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য ব্রিকলেন জামে মসজিদের মেইন হলে রাখা হবে।


 

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৮:৫৪, ১৫ মে ২০২৫

অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক ইউনূস সরকার দ্বারা অবৈধভাবে উপমহাদেশের প্রাচীন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী, গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্দোগে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে গত ১১ ই মে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। 

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী  আব্দুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী, প্রাক্তন এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি  হরমুজ আলী, সহ সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,  মাসুক ইবনে আনিস, আস ম মিসবাহ, শাহ শামীম আহমদ , সারব আলী, তারিফ আহমদ, সৈয়দ সুরুক আলি,ও  কাউসার চৌধুরীসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে ব্রিকলেনের রাস্তায় এক বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনার বজ্রনিনাদে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ড. ইউনুস, ও আসিফ নজরুলদের ব্রিটেনে অবাঞ্চিত ঘোষনা, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে দিলেই শেষ নয়, আওয়ামীলীগ আর দিগুন শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, অতীত ইতিহাস তাই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণের সাথ প্রবাসীরাও হতবাক ও ক্ষুব্ধ। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূলবোধকে নির্বাসিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশয় দেওয়া। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে বিশ্বময় প্রবাসীরা। 

বাংলাদেশ আজ মহা সংকটে পরিনত হয়েছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ’৭১ এর পরাজিত শক্তি, ভিনদেশিদের যোগসাজশে বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে সবকিছু ধ্বংস করে চলেছে। 

এদিকে যুক্তরাজ্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গত ১২ ই মে বৃটেনের কার্ডিফ শহরে  আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ইউকে ওয়েলস আওয়ামী লীগের  সভাপতি   মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক  এম.এ.মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায়  সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল, সহ সভাপতি এস এ রহমান মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, সাবেক যুবনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা আকতার উজ্জামান কোরেশি নিপু, সাবেক যুবনেতা আসকর আলী, ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সহ সভাপতি রকিবুর রহমান, ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এ বি রুনেল, সহ  আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রাক্তন ছাত্রনেতারা বক্তব্য রাখেন। 

বক্তারা  বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় জারি করা এই নিষেধাজ্ঞাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ এই পদক্ষেপকে “#অবৈধ” ও “#অসাংবিধানিক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নিয়ে এই সিদ্ধান্তকে “বিভেদ সৃষ্টিকারী” এবং “গণতান্ত্রিক নীতির উপর আঘাত” বলে অভিহিত করেছে, যা সমাজে বিভক্তি বাড়াচ্ছে এবং ভিন্নমত দমন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর