লইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিলে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান
প্রকাশিত :
০৫:৩৪, ২০ মার্চ ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪৪, ২০ মার্চ ২০২৫
ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৫: রাজধানীতে লইয়ার্স কাউন্সিল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইনজীবী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আইনজীবীরা জাতির বিবেকস্বরূপ। তারা ন্যায়বিচারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।”
অনুষ্ঠানে লইয়ার্স কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। তারা আইনের শাসন, মানবাধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
ইফতার মাহফিলে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয় এবং সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত :
১০:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত এক যুগের প্রতীক্ষিত আন্তঃনগর `বুড়িমারী এক্সপ্রেস\' ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন ঢাকাস্থ (ঢাকা - বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ (ঢাকা টু বুড়িমারী) আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সমন্নয়কদের পক্ষে- এ্যাড. মমিনুর রহমান সহ বক্তারা বলেন, আমরা লালমনিরহাট জেলার, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১৯ লক্ষাধিক নিরীহ ও অবহেলিত জনগণ বিনয়ের সহিত আবেদন করিতেছি যে, আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রাণের দাবি আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমরা রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে যাচ্ছি, কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বৈষম্যবাদী মনোভাব থাকায় আমরা উল্লেখিত চার উপজেলার জনসাধারণ সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াতে ব্যবসায়ী ও পর্যটকগণ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।
অথচ বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বুড়িমারী যাতায়াতে অবহেলিত সড়ক পথের এহেন বেহাল অবস্থা, এ অবস্থায় নিরাপত্তা বেষ্টিত এক্সপ্রেস ট্রেন সেবা থেকে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরূপ বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি। উল্লেখ্য যে, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বৈষম্যতা দূরীকরণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে সেই দেশে চার উপজেলা বাসীগণ আমাদের বরাদ্দকৃত আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও, আমাদেরকে সেই সেবা থেকে বৈষম্যতা করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে লালমনিহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেছিলাম এবং অপরদিকে মাননীয় রেল উপদেষ্টা রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা ও সচিব রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকা, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবন ঢাকা, মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট সহ ডাকযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।