img

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত

প্রকাশিত :  ১৪:২৮, ০৩ জুন ২০২৫

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭২৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা থেকে দুইজন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৪ জন। তবে ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই রোগে দেশে ২৯ হাজার ৪৯৯ জন মারা গেছেন।


img

টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির অভিযান: কেওড়া জঙ্গল থেকে উদ্ধার ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা

প্রকাশিত :  ১৭:৩১, ১৭ জুন ২০২৫

টেকনাফ | ১৭ জুন ২০২৫: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা ও নোয়াপাড়া সীমান্তসংলগ্ন আদমের জোড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় সফল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ লেদা বিওপি ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্পের একাধিক টহল দল অভিযানে অংশ নেয়। বিজিবির সদস্যরা ঝড়-বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেন।

রাত গভীর হলে দুই ব্যক্তিকে চুপিসারে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করার চেষ্টা করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করে বিভিন্ন দিক থেকে ধাওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা নদীর পাশের জলমগ্ন কেওড়া জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এরপর বিজিবির সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালান।

অভিযানে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া কর্দমাক্ত অবস্থার দুইটি বস্তার ভেতর থেকে ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে গেছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী জমা ও ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বিজিবির দৃঢ় অবস্থান

বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। ভবিষ্যতেও সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিজিবি এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করবে।

উল্লেখযোগ্য যে, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এই চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর