img

লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত :  ২০:১৩, ৩০ আগষ্ট ২০২৫

লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় বাংলাদেশের

বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে সহজেই জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে লিটন দাসের দল।

নেদারল্যান্ডস প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১৩৬/৮ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ছিলেন শাসক, ৪ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। তিনি একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস ভেঙে দেন। বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে মাক্স ওদা’উদ এবং ভিক্রমজিৎ সিংয়ের উইকেটগুলো নেওয়ার পর দল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ১/১৯ এবং সাইফ হাসান ২/১৮ রান দিয়ে দলের জন্য আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।

১৩৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়, যখন পারভেজ হোসেন ইমন (১৫) দ্রুত আউট হন। তবে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান মিলে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। লিটন দাস (৫৪*) তার ধারাবাহিক ব্যাটিং দিয়ে বাংলাদেশকে সহজ জয় এনে দেন। ২৬ বলে ৫৪ রান করেন তিনি, ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন।

তানজিদ হাসান (২৪) ও লিটন দাসের জুটি বাংলাদেশকে ৯০ রান পার করতে সাহায্য করে। এরপর সাইফ হাসান (৩৬*) মাঠে এসে দুইটি দারুণ ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। তার ১৯ বলের ইনিংসটি ছিল খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া।

নেদারল্যান্ডসের পক্ষে একমাত্র সফল বোলার ছিলেন আরিয়ান ডুট (১/৩০)। তিনি পারভেজ হোসেন ইমনকে আউট করে দলকে প্রথম সফলতা এনে দেন। আরেকটি উইকেট ছিল টিম প্রিঙ্গলের (১/১৬), তবে বাকি বোলাররা তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি।

বাংলাদেশ ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ১৩.৩ ওভারে ১৩৮/২ রান করে জয় পায়। লিটন দাস এবং সাইফ হাসানদের অটল ব্যাটিং ছিল ম্যাচের মূল অংশ।

বাংলাদেশ ৮ উইকেটের জয় পেয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো। আগামী ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সিরিজটি জয় করে নয়া শক্তি তৈরি করা।

এ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে দলের সেরা খেলোয়াড়রা নিজেদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।


img

৮ দলের এশিয়া কাপ শুরু আজ

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেট উৎসব—এশিয়া কাপ। আট জাতির এই মহারণ এবার হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। উদ্বোধনী ম্যাচে আবুধাবিতে মরুর বালুকাবেলায় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং।

টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণকে ঘিরেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে গোটা এশিয়া কাপ। সীমান্তে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও ক্রিকেট মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই সবসময়ই রঙিন, আবেগঘন। মরুভূমির হৃদয়ে সেই ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে উৎসবের আবহ। মধ্যপ্রাচ্যে ভারত ও পাকিস্তান প্রবাসীদের বিপুল উপস্থিতি দর্শকাসনে রূপ নেবে মহাসমুদ্রে।

এবারের এশিয়া কাপে থাকছে বাড়তি প্রণোদনা—প্রাইজমানি তিন লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের আসরের চেয়ে দেড়গুণ বেশি। আরেকটি বিশেষত্ব হলো, আগামী বছর ভারত-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটি হবে বড় পরীক্ষা।

বাংলাদেশের জন্য এটি ১৫তম এশিয়া কাপ। ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি মিলে টুর্নামেন্টের মোট ১৭তম আসর এটি। তিনবার রানার্সআপ হওয়া টাইগাররা এবারও চোখ রাখবে ফাইনালের দিকে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর মাঠে নামবে লিটন-তাসকিনের বাংলাদেশ। আবুধাবিতে প্রতিপক্ষ হংকং। এরপর গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শ্রীলংকা (১৩ সেপ্টেম্বর) ও আফগানিস্তানের (১৬ সেপ্টেম্বর) বিপক্ষে।

টুর্নামেন্টে আট দল দুই গ্রুপে বিভক্ত। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার ফোরে। সেখানে চার দল একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। শীর্ষ দুই দল খেলবে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে। সেক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান লড়াই তিনবার দেখার সম্ভাবনাও আছে দর্শকদের সামনে।

পাকিস্তান ইতোমধ্যে শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে প্রবেশ করেছে আত্মবিশ্বাসী হয়ে। অধিনায়ক সালমান আগা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘এশিয়া কাপের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’

তার সেই হুঙ্কারের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম খেলোয়াড় ও সমর্থকদের প্রতি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেষবার ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়েই মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ফাইনালে জয় পেয়েছিল ভারত, যারা এখন এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও (২০২৩ সালে কলম্বোর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল)।

এবারও তাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই ম্যাচই। তবে বাংলাদেশের তরুণদের ঝলক, শ্রীলঙ্কার পুনরুত্থানের চেষ্টা কিংবা আফগানিস্তানের চমক—সব মিলিয়ে মরুর বুকে জমজমাট ক্রিকেটযুদ্ধের অপেক্ষায় এশিয়া।