img

বদলা নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেন জিতলেন সাবালেঙ্কা

প্রকাশিত :  ০৭:০১, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বদলা নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেন জিতলেন সাবালেঙ্কা

বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা নারী একক টেনিসে দারুণ লড়াই শেষে শিরোপা ধরে রাখলেন। নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মেডোজে অনুষ্ঠিত ইউএস ওপেনের ফাইনালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উইম্বলডন রানার-আপ আমান্ডা আনিসিমোভার বিপক্ষে সরাসরি সেটে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩) গেমে জয় তুলে নেন।

এই জয়ে সাবালেঙ্কা টানা দুই বছর ইউএস ওপেন জিতে ইতিহাস গড়লেন। এর আগে ২০১৪ সালে সেরেনা উইলিয়ামস পরপর দুই বছর এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। বিশ্ব এক নম্বর তারকা সাবালেঙ্কার ক্যারিয়ারের এটি চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। চারটিই এসেছে হার্ড কোর্টে— দুটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং দুটি ইউএস ওপেন।

ক্রিকেটে যে রেকর্ডে উগান্ডার চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশক্রিকেটে যে রেকর্ডে উগান্ডার চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ

ম্যাচ শেষে আবেগঘন কণ্ঠে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা এখানে এসেছেন, যারা দূর থেকে উড়ে এসে আমার বক্সে ছিলেন। আমি আরও অনেক ফাইনালে খেলতে চাই। সেইসঙ্গে আমি চাইব তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আমার পাশে থেকো।’

এই ফাইনাল ছিল দুই খেলোয়াড়ের জন্যই মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা। আনিসিমোভা ৫৬ দিন আগেই উইম্বলডনের ফাইনালে ইগা শভিয়াতেকের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে বছরজুড়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেনে হতাশাজনক পরাজয় সইতে হয়েছে সাবালেঙ্কাকে। তাছাড়া কোকো গফের কাছে হারের পর বিতর্কিত সংবাদ সম্মেলনের জন্য ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল।

সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙেছে পিএসজি কোচেরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙেছে পিএসজি কোচের

তবে সব বাধা পেরিয়ে তিনি আবার প্রমাণ করলেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব। আনিসিমোভার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে শক্ত লড়াই করেও ঠেকানো যায়নি সাবালেঙ্কাকে। জয় নিশ্চিত করার পর হাঁটু গেড়ে কোর্টে পড়ে যান তিনি, এরপর কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আনন্দোৎসবে মেতে ওঠেন। এবারের ইউএস ওপেনের ফাইনাল তাই স্মরণীয় হয়ে রইল কেবল একটি শিরোপা জয়ের কারণে নয়, বরং সাবালেঙ্কার লড়াইয়ের মানসিকতা, ধারাবাহিকতা এবং ইতিহাসগড়া সাফল্যের জন্যও।

img

৮ দলের এশিয়া কাপ শুরু আজ

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেট উৎসব—এশিয়া কাপ। আট জাতির এই মহারণ এবার হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। উদ্বোধনী ম্যাচে আবুধাবিতে মরুর বালুকাবেলায় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং।

টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণকে ঘিরেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে গোটা এশিয়া কাপ। সীমান্তে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও ক্রিকেট মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই সবসময়ই রঙিন, আবেগঘন। মরুভূমির হৃদয়ে সেই ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে উৎসবের আবহ। মধ্যপ্রাচ্যে ভারত ও পাকিস্তান প্রবাসীদের বিপুল উপস্থিতি দর্শকাসনে রূপ নেবে মহাসমুদ্রে।

এবারের এশিয়া কাপে থাকছে বাড়তি প্রণোদনা—প্রাইজমানি তিন লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের আসরের চেয়ে দেড়গুণ বেশি। আরেকটি বিশেষত্ব হলো, আগামী বছর ভারত-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটি হবে বড় পরীক্ষা।

বাংলাদেশের জন্য এটি ১৫তম এশিয়া কাপ। ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি মিলে টুর্নামেন্টের মোট ১৭তম আসর এটি। তিনবার রানার্সআপ হওয়া টাইগাররা এবারও চোখ রাখবে ফাইনালের দিকে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর মাঠে নামবে লিটন-তাসকিনের বাংলাদেশ। আবুধাবিতে প্রতিপক্ষ হংকং। এরপর গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শ্রীলংকা (১৩ সেপ্টেম্বর) ও আফগানিস্তানের (১৬ সেপ্টেম্বর) বিপক্ষে।

টুর্নামেন্টে আট দল দুই গ্রুপে বিভক্ত। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার ফোরে। সেখানে চার দল একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। শীর্ষ দুই দল খেলবে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে। সেক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান লড়াই তিনবার দেখার সম্ভাবনাও আছে দর্শকদের সামনে।

পাকিস্তান ইতোমধ্যে শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে প্রবেশ করেছে আত্মবিশ্বাসী হয়ে। অধিনায়ক সালমান আগা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘এশিয়া কাপের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’

তার সেই হুঙ্কারের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম খেলোয়াড় ও সমর্থকদের প্রতি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেষবার ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়েই মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ফাইনালে জয় পেয়েছিল ভারত, যারা এখন এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও (২০২৩ সালে কলম্বোর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল)।

এবারও তাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই ম্যাচই। তবে বাংলাদেশের তরুণদের ঝলক, শ্রীলঙ্কার পুনরুত্থানের চেষ্টা কিংবা আফগানিস্তানের চমক—সব মিলিয়ে মরুর বুকে জমজমাট ক্রিকেটযুদ্ধের অপেক্ষায় এশিয়া।