img

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক হ্রাস পেয়েছে : এফএও

প্রকাশিত :  ০৬:২৯, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক হ্রাস পেয়েছে : এফএও

বিশ্ব খাদ্যমূল্য সেপ্টেম্বরে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। মূলত চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমার কারণে এই পতন ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে।

এফএওর খাদ্যমূল্য সূচক, আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য হওয়া বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মাসিক মূল্য পরিবর্তন পরিমাপ করে। সেপ্টেম্বরে এফএওর খাদ্যমূল্য সূচক গড়ে দাঁড়ায় ১২৮.৮ পয়েন্টে। আগের মাস আগস্টে সূচক ছিল ১২৯.৭ পয়েন্ট। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সূচক এখনো ৩ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি।

এফএওর আলাদা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস ২.৯৭১ বিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে। গত মাসে এই পূর্বাভাস ছিল ২.৯৬১ বিলিয়ন টন। যা গত বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি। এটি ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক বৃদ্ধি। মূলত গম, ভুট্টা ও চালের ভালো উৎপাদন প্রত্যাশার কারণে এই পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে। 

img

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

প্রকাশিত :  ০৪:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। 

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর