img

মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে ন্যাটোর মতো সামরিক জোট গঠনের আশা পাকিস্তানের

প্রকাশিত :  ০৭:১১, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে ন্যাটোর মতো সামরিক জোট গঠনের আশা পাকিস্তানের

সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে সই হওয়া সামরিক চুক্তিটি আরও বিস্তৃত হয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মতো একটি শক্তিশালী সামরিক জোটে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। 

গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইসহাক দার বলেন, \'সৌদির সঙ্গে আমাদের সামরিক চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ এবং একাধিক আরব ও মুসলিম দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে এমন চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।\' তিনি উল্লেখ করেন, এই চুক্তিতে আরও দেশ যুক্ত হলে এটি \'নতুন ন্যাটোতে\' পরিণত হতে পারে এবং \'আল্লাহ চাইলে পাকিস্তান ৫৭ মুসলিম দেশকে নেতৃত্ব দেবে।\'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আরও বলেন, পাকিস্তানে গত মে মাসে ভারত যে \'অপারেশন সিঁদুর\' নামে হামলা চালিয়েছিল এবং যে কারণে দুই দেশের মধ্যে চার দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল—সেই সময় যদি চুক্তিটি কার্যকর থাকত, তাহলে পাকিস্তানে ভারতের হামলাটি সৌদি আরবের ওপরও হামলা হিসেবে বিবেচিত হতো। 

উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ঐতিহাসিক সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, এই দুই দেশের ওপর অন্য কোনো দেশ যদি হামলা চালায়, তাহলে তা উভয়ের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে। 

পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদির এই সামরিক চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ এর মাধ্যমে কার্যত পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ছাতার নিচে চলে এসেছে সৌদি আরব। যদিও দুই দেশের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি যে, হামলা হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কি না। 

সূত্র: দ্য নিউজ পিকে


img

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

প্রকাশিত :  ০৪:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। 

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর