img

তহবিলের অভাবে বিশ্বব্যাপী এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী ছাঁটাই করবে জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১১:৪৩, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

তহবিলের অভাবে বিশ্বব্যাপী এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী ছাঁটাই করবে জাতিসংঘ

গুরুতর আর্থিক সংকটের কারণে জাতিসংঘ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৯টি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভবিষ্যৎ অর্থায়ন অনিশ্চিত থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। 

বর্তমানে যে সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন, এটি তার এক-চতুর্থাংশের কাছাকাছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক বেসামরিক কর্মীর চাকরি হারানোরও ঝুঁকি রয়েছে। 

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, সংস্থাটি তার ৮০তম বার্ষিকীতে গুরুতর অর্থ সংকটে পড়েছে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানোর নতুন উপায় খুঁজছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা হলো যুক্তরাষ্ট্র, যারা মোট বাজেটের প্রায় ২৬ ভাগ দেয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন দেয় প্রায় ২৪ ভাগ অর্থ। কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তাদের ২.৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রেখেছে, যার ফলে অর্থের বড় রকম টান পড়েছে। 

নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগেই দেশটির ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল, যার সঙ্গে এখন আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে, তবে দেশটির জাতিসংঘ মিশন এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত আগস্টে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফাভাবে বাতিল করেন। তার প্রশাসনের বাজেট দপ্তর ২০২৬ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সব তহবিল বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে, কারণ তাদের মতে মালি, লেবানন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মিশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে। 

এই সিদ্ধান্তের কারণে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত এলাকা (ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্ত) এবং আবিয়াই (দক্ষিণ সুদান-সুদান সীমান্তবর্তী প্রশাসনিক অঞ্চল) এলাকার শান্তিরক্ষী মিশনগুলো প্রভাবিত হবে। 

উল্লেখ্য, এর মধ্যে বেশ কিছু মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন।

সূত্র: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজায় ফের হামলা শুরু করতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রীরা

প্রকাশিত :  ১৪:৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪২, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় আবারও আক্রমণ শুরু করার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরসহ একাধিক মন্ত্রী ।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) আল জাজিরা জানিয়েছে, বেন-গভির এক্স-পোস্টে বলেন, তিনি চান ইসরায়েলি বাহিনী 'সর্বোচ্চ শক্তির সঙ্গে গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করুক'।

আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ সকালে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর মন্ত্রীদের এ বক্তব্য এলো।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এক্স-পোস্টে একটি শব্দ লিখে একই ইঙ্গিত দিছেন: 'যুদ্ধ!'

প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি বলেন, 'যতদিন হামাস থাকবে, যুদ্ধ থাকবেই।'

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য আভি ডিচটার পরিস্থিতিকে 'কঠিন ও জটিল' বলে বর্ণনা করেছেন এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, সমস্ত জীবিত জিম্মিরা আমাদের হাতে, পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইসরায়েল হামাসকে নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে হাল ছাড়বে না।

দীর্ঘদিনের গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মাঝে কয়েকদিন আগে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে হামাস ও ইসরায়েল। তবে কয়েকদিন না গড়াতেই ইসরায়েলি মন্ত্রীদের এসব মন্তব্য তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর