img

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:০৪, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে ফিলিপাইনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা। খবর আল জাজিরার।

তাৎক্ষণিক এক বার্তায় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সুনামি সতর্কতা সংস্থা প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, সুনামির জলোচ্ছ্বাসের সময় ফিলিপাইনের কোনো কোনো এলাকায় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ-এও আঘাত হানতে পারে সুনামি।

ফিলিপাইনের ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা দ্য ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে সুনামি।

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্প ও ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থাও সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। এ সম্পর্কিত এক পূর্বাভাসে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুনামির সময় ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ ফুটের বেশি হতে পারে।

আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ৪৩ মিনিটে মিন্দানাওয়ের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি। এর কিছুক্ষণ আসে পর ৭ দশমিক ২ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির আঘাত।

এক বার্তায় মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল মিন্দানাওয়ের মানায় শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫৮ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে। মিন্দানাওয়ের রাজধানী দাভাও থেকে এপিসেন্টারের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার।

ভূমিকম্প দু’টি হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বেশ কয়েকটি ‘আফটার শক’ হয়েছে মিন্দানওয়ে। প্রতিটি আফটার শকের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ পর্যন্ত।

দাভাওয়ের গভর্নর এডউইন জুবাহিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেছেন, “দু’টি ভূমিকম্পই খুব শক্তিশালী ছিল। আঘাতের পর স্বাভাবিকভাবেই লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ভূমিকম্পে কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”

প্রসঙ্গত, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ কেবু-তে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে নিহত হয়েছিলেন ৬৯ জন, আহত হন আরও বহুসংখ্যক।

সূত্র : বিবিসি, সিএনএন

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর