img

নভেম্বরের ৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত :  ১৬:২৯, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

নভেম্বরের ৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ৩ দিনে দেশে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছর একই সময়ে ছিল ২২১ মিলিয়ন ডলার।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম তিন দিনে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থ-বছরের ১ জুলাই থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১০ হাজার ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ১৫৯ মিলিয়ন ডলার।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ-বছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ১০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার বেশি।

এদিকে ব্যাংকাররা জানিয়েছে, দেশের ডলার মার্কেট বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। খোলা বাজারে হুন্ডির প্রভাব কমার ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রাপ্ত রেটও খোলা বাজারের ডলারের দামের কাছাকাছি হওয়ায়, প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছে বেশি।




img

হাসিনার বিরুদ্ধে রায় প্রমাণ করে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৭:১১, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতের দণ্ডাদেশ প্রমাণ করেছে যে ক্ষমতার অবস্থান যাই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের আদালত এমন একটি রায় দিয়েছেন, যা দেশ-বিদেশে প্রতিধ্বনিত হবে। দণ্ডাদেশ ও দোষী সাব্যস্ত করা একটি মৌলিক নীতিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছে। ক্ষমতা যাই হোক, আইন সবার জন্য সমান। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঘটনার সময় যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এবং যেসব পরিবার এখনও শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন, এই রায় তাদের জন্য আংশিক হলেও গুরুত্বপূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশ এখন দীর্ঘ বছরের দমন-পীড়নে বিধ্বস্ত গণতান্ত্রিক ভিত্তি পুনর্গঠনের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেসব অপরাধের বিচার হয়েছে, নিরস্ত্র তরুণ-তরুণী ও শিশুদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ শুধু আইনের লঙ্ঘনই নয়; রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যকার মৌলিক আস্থার বন্ধনও ভেঙে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের মৌলিক মূল্যবোধ-মর্যাদা, প্রতিরোধ-ক্ষমতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারে তীব্রভাবে আঘাত করেছিল।

‘প্রায় ১,৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা কেবল কোনো সংখ্যা ছিলেন না; ছিলেন ছাত্র-ছাত্রী, বাবা-মা ও অধিকারসম্পন্ন নাগরিক,’ যোগ করেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, আদালতে মাসের পর মাসের সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর কীভাবে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানো হয়েছিল। এ রায় তাদের দুর্ভোগকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিশ্চিত করে যে ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে ছাড় নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক জবাবদিহির মূল স্রোতে পুনরায় যুক্ত হচ্ছে। ‘পরিবর্তনের দাবিতে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের অনেকে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে; তাদের আজকের ত্যাগ আমাদের আগামীর পথ তৈরি করছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু আইনি জবাবদিহি নয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনও এখন জরুরি। মানুষ কেন প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের জন্য সবকিছু ঝুঁকিতে ফেলতে প্রস্তুত হয়েছিল, এখন তা বোঝা এবং সেই আস্থার উপযোগী সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি পূর্ণ আস্থা রাখি ‘বাংলাদেশ সাহস ও বিনয়ের সঙ্গে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।’

আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং প্রতিটি মানুষের সম্ভাবনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার শুধু টিকেই থাকবে না, বরং বিজয়ী হবে এবং তা স্থায়ী হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।