img

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত :  ১৪:৪৩, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ একদল লোক জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা ভেতরের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছে।

এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় পৌনে ৭টার দিকে কিছু মানুষ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আসে। পরে তারা অফিসকে টার্গেট করে কয়েক দফা হামলা চালায় এবং পরে অগ্নিসংযোগ করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানি বলেন, হঠাৎ কয়েকজন যুবক স্লোগান দিতে দিতে এসে অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এরপর ধোঁয়া বের হতে দেখি। পুলিশ আসার পর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভুঁইয়া অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে আগুন দেয়।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায়, কেন আমরা নির্বাচন অংশ নিয়েছি এই কারণে? তাহলে যারা ছাত্রলীগ করেছে তারা এখন এনসিপি করেছে। তাহলে তাদের আগে নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ তারা তো সরাসরি ছাত্রলীগ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ ৩২ দল নির্বাচন অংশ নিয়েছে, তাহলে তাদেরও নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দল হবো। এই কারণে নির্বাচন পেছাতে এগুলো করা হচ্ছে।

এর আগেও একাধিকবার জাতীয় পার্টির এ কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।


img

গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এখন বৈঠকে আলোচনা চলছে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।


জাতীয় এর আরও খবর