img

তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৫, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ইচ্ছা একান্তই তার নিজের। তার ট্রাভেল ডকুমেন্ট সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান আমরা করব।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারেক রহমান পাসপোর্টের আবেদন করেছেন কিনা সেটি আমার জানা নেই। তিনি যখন আসবেন তখন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেটাই প্রয়োজন আমরা দিতে পারব।

সরকার নিজে থেকে উদ্যোগ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সেটার প্রয়োজন নেই। তিনি যখন দেশে ফিরতে চাইবেন আমাদের যতটুকু সহায়তা করার অবশ্যই করবো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য সর্বশেষ চিঠি দেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, এরপর এ নিয়ে আর কোনও চিঠি দেইনি আমরা। একদফা দেওয়া হয়েছে, যদি দেওয়া হয় আপনারা জানতে পারবেন।

img

গণভোট ও অধ্যাদেশসহ ৪ উপায়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে এখন বৈঠকে আলোচনা চলছে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।


জাতীয় এর আরও খবর