img

১১ দফা দাবিতে শিক্ষক কর্মচারীদের মহাসমাবেশ

প্রকাশিত :  ১১:৪২, ১০ মে ২০২৫

১১ দফা দাবিতে শিক্ষক কর্মচারীদের মহাসমাবেশ

শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদ-উল আযহা\'র পূর্বেই ১০০% উৎসবভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে জাতীয় ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করেছে\" শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ\"।

আজ শনিবার (১০মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করেছে \"শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ\"।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদ-উল আযহা\'র পূর্বেই ১০০% উৎসবভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)\'র সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ শামীম আল মামুন জুয়েল-এর সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)\'র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার, মোঃ হারুনুর রশিদ মজুমদার, মোঃ শাজাহান খান, বিটিএ\'র উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আলী আহামেদ, বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম, আবুল কাসেম, সহ সভাপতি বেগম নূরুন্নাহার, অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান প্রামানিক, মোঃ মহিউদ্দিন, সুনীল বরন হালদার, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, মীর মনিরুজ্জামান, নীহার কান্তি বাছাড়, এ বি এম আব্দুল আলীম, মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ লিয়াকত হোসেন, চাঁন মিয়া, আব্দুল মালিক রাজু, মোঃ আব্দু কাদের ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া ও মোঃ বাবুল হোসেনসহ প্রমুখ শিক্ষক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।

১১ দফা দাবি:

১/ মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরাসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা। 

২/ আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিসাভাতা প্রদান করা।

৩/ ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। 

৪/ সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের \'প্রধান শিক্ষক\'-এর বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে, 

৫/ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল প্রদান করা।

৬/ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা। 

৭/ সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন প্রথা চালু করা এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদানসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা।

৮/ শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় ৬৫ বছরে উন্নীতকরা। 

৯/ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন জ্বরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা। 

১০/ ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিচালনা করা।

১১/ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।

img

৩৩ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ১৬ জুন ২০২৫

শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে দেশ। বর্তমানে সারা দেশে ৩৩ হাজারের বেশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক এন্ট্রি লেভেলের সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য। অথচ দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই পড়াশোনা করে এসব প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বড় পরিসরে শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শূন্য পদে প্রায় ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। জানা গেছে, আজ সোমবার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। তবে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২২ জুন থেকে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। টেকনিক্যাল কোনো জটিলতা না থাকলে নির্ধারিত তারিখেই এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ।

জানা গেছে, এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের একটি বড় অংশ অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকছে। এনটিআরসিএর নীতিমালা অনুযায়ী, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারীরা এই নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া যেসব প্রার্থীর নিবন্ধন সনদ তিন বছরের বেশি সময় আগে পাওয়া, তারাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এ কারণে গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় থাকা নিবন্ধন সদনধারী দেড় লাখ প্রার্থী আবেদনেরই সুযোগ পাবেন না। স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা তরুণ-তরুণীরা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ‘নিবন্ধন সনদ’ অর্জন করেছেন। তার পরও দুই শর্তের কারণে আবেদনবঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় বয়স-সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরা এমপিও নীতিমালার বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

অন্যদিকে, এনটিআরসিএর ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দেশের শিক্ষা খাতে অন্যতম বৃহৎ নিয়োগ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সব ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পদের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তবে এবার তা আরও বড় পরিসরে হচ্ছে। আবেদনকারীদের এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে ২২ জুন থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। আবেদনের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই বৈধ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে এনটিআরসিএর নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবস্থার মাধ্যমে। এ ব্যবস্থায় প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই, প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মিলিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুপারিশ তৈরি করা হবে, যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

‘যোগ্য ও দক্ষ’ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। সময়ের পরিক্রমায় ক্ষমতা বাড়লেও চাহিদা মতো শিক্ষক সরবরাহ করতে পারছে না সংস্থাটি। বছরের পর বছর এ সংকট চলায় শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফেনীর ছাগলনাইয়ার পূর্ব দেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬টি পদের মধ্যে ছয়টিই শূন্য। এগুলোর মধ্যে চারটি ২০২১ সালের মার্চ থেকে, একটি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এবং অন্যটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শূন্য রয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকের সাতটি পদ শূন্য। এর মধ্যে ছয়টি পদ ২০২০ সাল থেকেই শূন্য, আরেকটি গত বছরের মে মাস থেকে খালি রয়েছে। জানা গেছে, গত বছরের ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্যপদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরিপ্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা ছিল। এছাড়া চলতি বছরে অবসরের কারণে শূন্য হয় আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর থেকে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে।

নিয়োগ হয় যেভাবে :বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে শিক্ষক হতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদ থাকতে হয়। একসময় ঐ সনদধারীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় কাজ করত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ। স্থানীয় সংসদ সদস্য বা উপজেলা চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বাধীন এসব পর্ষদের বিরুদ্ধে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’সহ নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। এই বাণিজ্য ঠেকাতে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করে। তাতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মৌলিক পরিবর্তন আসে। ঐ বছরের ৩০ ডিসেম্বর নতুন নিয়মের পরিপত্র জারি করা হয় ; যাতে বলা হয়—এনটিআরসিএ প্রতি বছর মেধার ভিত্তিতে যে প্রার্থীকে সুপারিশ করবে, তাকেই নিয়োগ দিতে হবে পরিচালনা পর্ষদকে। ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগ আর থাকেনি পরিচালনা পর্ষদের হাতে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নিবন্ধন সনদ পেতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে অন্তত ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। বর্তমানে নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর; এ সনদধারীরা ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এ আবেদনে একজন প্রার্থী নিজ বিষয়ে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে পারেন। নিবন্ধন পরীক্ষায় ঐ প্রার্থীর পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে তাকে ঐসব প্রতিষ্ঠানের একটিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপত্র নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৪ জুন আমাদের বোর্ড সভায় ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১৬ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে এটি গত ৪ জুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে আমরা কিছুই করছি না। এখন শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া বাকি।’ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা কত এমন প্রশ্নের জবাবে মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাদের মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজারের মতো। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান নন-এমপিও এবং অতিরিক্ত চাহিদা দিয়েছেন। এগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। ৯০ হাজারের বেশি পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের (বাশিফ) নেতারা শিক্ষকসংকট পরিস্থিতির জন্য এনটিআরসিএকেই দুষছেন। তারা বলেন, একদিকে প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভা—তিন ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও একজন প্রার্থীকে এনটিআরসিএ চাকরি দিতে পারে না; অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচুর পদ ফাঁকা। এটি আসলে সমন্বয়ের অভাব। শিক্ষক নিবন্ধনের প্রক্রিয়া থেকে নিয়োগের সুপারিশ পর্যন্ত সব কটি ধাপ শেষ হতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। ফলে অনেক প্রার্থী অন্য পেশায় চলে যান, আর শিক্ষক পদ শূন্যই থেকে যায়। এনটিআরসিএকে কমিশনে রূপান্তর করার পরামর্শ দেন তারা।

এদিকে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে বিভিন্ন পলিটেকনিক, মনোটেকনিক এবং কারিগরি স্কুল ও কলেজগুলো। এগুলোর সরকারি হিসাব অনুযায়ীই ৭০ শতাংশ শিক্ষক পদ খালি। জনশক্তি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যুরোর অধীন কারিগরি প্রতিষ্ঠানেও প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য।


শিক্ষা এর আরও খবর